রোমানো-জার্মানি জাদুঘরের একটি দল লাইব্রেরিটির অবকাঠামোর সন্ধান পান। একটি প্রোটেসট্যান্ট চার্চের সন্ধানে খনন কাজ করতে গিয়ে প্রাচীন লাইব্রেরিটির সন্ধান পান তারা।
উদ্ধার কার্যক্রমের একজন গবেষক ড. দির্ক স্মিথজ বলেন, লাইব্রেরির অবকাঠামোতে প্রায় ২০ হাজারের মতো পাকানো কাগজও পাওয়া গেছে।
স্মিথজ এ আবিষ্কারকে ‘দৃষ্টি আকর্ষক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
উদ্ধারকারী দলটি একটি চার্চের সন্ধানে খনন কাজে যুক্ত ছিলেন। চার্চটি দ্বিতীয় শতাব্দীর একটি রোমান ভবনে ছিল।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, প্রাচীন এ লাইব্রেরিটির আকার ছিল ২০ মিটার ও ৯ মিটার। এছাড়া লাইব্রেরি ভবনটি ছিল দু’তলা।
রোমানো-জার্মানিক জাদুঘরের পরিচালক মারকুস ত্রিয়ের বলেন, প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম জায়গাটি জনসাধারণের জড়ো হওয়ার জায়গা। কিন্তু দেয়ালটি ছিল ‘অনেকটা গুহার মতো, বিরল’।
গবেষণার পর প্রত্নতাত্ত্বিকরা তুরস্কের ইফেসাসের প্রাচীন ভবনের সঙ্গে এ লাইব্রেরি ভবনের সাদৃশ্যতা পান। এ সাদৃশ্যতার ফলে তারা নিশ্চিত হন সন্ধান পাওয়া ভবনটি লাইব্রেরির অবকাঠামো।
‘কলগনি’র রোমানো-জার্মানিক জাদুঘরের গবেষক ড. দির্ক স্মিথজ বলেন, এ সাদৃশ্যতা পেতে আমাদের সময় নিতে হয়েছে। কোনো স্থাপত্য থাকার জন্য এ ভবনটি খুবই সংকীর্ণ। এটি লাইব্রেরির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ইফেসাসেও এরকম একটি লাইব্রেরি রয়েছে।
ড. স্মিথজের ধারণা, এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার চামড়ার ও প্যাপিরাসের প্যাঁচানো কাগজ পাওয়া গেছে।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, ৫০ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির অন্যতম শহর ‘কলগনি’ নির্মাণ করেন রোমানরা। তখন এর নাম দেন ‘কলোনিয়া’। কলগনি নামে পশ্চিমাঞ্চলের জার্মান শহরটি ২ হাজার বছরের পুরনো। শহরটি রাইন নদীর তীরে অবস্থিত। ফলে এ শহরে এরকম প্রাচীন নির্দশন পাওয়াও অসম্ভব কিছু নয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
এএইচ/এএ