জানা যায়, একদিন আগে (১১ আগস্ট) রকেটটি উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে বাড়তি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে তা পিছিয়ে আনা হয়।
সূর্যের সবচেয়ে কাছের দৃশ্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এই স্পেসক্র্যাফটের গন্তব্য সূর্যের উজ্জ্বল আভাযুক্ত এলাকা ‘করোনা’।
বলা হচ্ছে, পার্কার প্রোব নজিরবিহীন গতিতে ছুটে চলবে। এত দ্রুতগতির কোনো কিছু আগে তৈরি হয়নি। সূর্যের চারদিকে এটি ঘণ্টায় ৬ লাখ ৯০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে ঘুরবে। এই গতিতে নিউইয়র্ক থেকে টোকিও যেতে লাগবে এক মিনিটেরও কম সময়।
নাসার গবেষকরা জানাচ্ছেন, এ অভিযানের মাধ্যমে করোনার আবহমণ্ডল, বিশেষ করে সৌরঝড় ও সূর্যের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানা যাবে।
৯১ বছর বয়স্ক অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট ইউজিন পার্কারের নামে নামকরণ করা হয়েছে স্পেসক্র্যাফটি। সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬১ লাখ কিলোমিটার ওপর থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে এবং প্রায় ১৩৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপের মধ্যে অবস্থান করবে মানবহীন স্পেসক্র্যাফ্টটি।
এ প্রজেক্টে নিযুক্ত একজন বিজ্ঞানী নিকি ফক্স সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটি হতে চলেছে সাত বছরের একটি মিশন। এসময় করোনার মধ্যে দিয়ে প্রোবটি ২৪ বার ভ্রমণ করবে।
পার্কার প্রোবের কাঠামোতে রয়েছে কার্বন যৌগের ৪.৫ ইঞ্চি পুরু শিল্ড যা সূর্য থেকে পৃথিবীতে আসা রেডিয়েশনের চেয়েও ৫০০ গুণ বেশি রেডিয়েশন প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়া ম্যাগনেটিক ও ইলেক্ট্রিক ফিল্ড, প্লাজমা তরঙ্গ এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পার্টিকেল পরিমাপের জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে এতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এনএইচটি