ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

প্রথম পর্ব

২০১৯ সালে যেতে পারেন বিদেশের যেসব স্থানে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৯
২০১৯ সালে যেতে পারেন বিদেশের যেসব স্থানে -

নতুন বছর, নতুন পরিকল্পনা। পুরো বছরটি কীভাবে কাটাবেন তার পরিকল্পনা এখনই শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। ভ্রমণপিপাসুরাও বছরের শুরুতেই নিশ্চয় প্ল্যান করছেন কোথায়, কোথায় যাবেন। তাদের জন্য বাংলানিউজের আজকের আয়োজন। এখনই গুছিয়ে নিন পুরো বছরের প্ল্যান।

ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড
নতুন বছরে ঘুরতে যেতে পারেন নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে। এটি দেশটির দক্ষিণের একটি দ্বীপ শহর।

শহরটিতে চার লাখেরও কম মানুষের বাস। ২০১১ সালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে শহরটির উল্লেখযোগ্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কর্তৃপক্ষ এসব স্থাপনা পুনর্নির্মাণ করেছে।  

স্ট্রিট আর্টভূমিকম্পের ক্ষত সারাতে পুরো শহরজুড়ে নানা ধরনের রঙিন স্ট্রিট আর্ট করেছেন স্থানীয়রা। শহরের বাড়িঘর, স্থাপনা, রাস্তা সবকিছুই মুড়ে দেওয়া হয়েছে যেন রঙে। চাইলে আপনিও নতুন বছরে এই রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন ক্রাইস্টচার্চে।  

মিশর
পিরামিডের দেশ মিশর। নতুন বছরে জানতে পারেন প্রাচীন সভ্যতার না জানা বহু ইতিহাস।

স্ফিংসমিশরজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মনুমেন্ট, পিরামিড, স্ফিংস এর মূর্তি, মমি, প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা এবং প্রাচীন ফারাও রাজাদের আবাসস্থল।

ড্রাইভিংয়ের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা মিশরের লোহিত সাগর।  এছাড়াও প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমিখ্যাত মিশরে রয়েছে নীলনদ। জাহাজে চড়ে নীলনদ পরিদর্শনও করে আসতে পারেন।

ফুকুওকা, জাপান
জাপানের ফুকুওকা সাগর আর পাহাড়ে ঘেরা একটি বন্দর নগরী। প্রাচীন স্থাপনা, নানা ধরনের খাবার আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য সব কিছু্ই মিলবে ফুকুওকাতে।

-দেখা মিলবে ১৭তম শতাব্দীর ধ্বংসপ্রাপ্ত ফুকুওকা ক্যাসেল, জাতীয় জাদুঘর এবং শিন্টো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের। যদি আপনি আগে এখানে না গিয়ে থাকেন তবে বেড়ানোর জন্য এখনই প্ল্যান করে ফেলুন।  

ঘানা
ঘানা পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত এটি গোল্ড কোস্ট নামের একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ১৯৫৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর দেশটির নাম ‘ঘানা’ রাখা হয়।  

দাসদের রাখা হতো এসব দুর্গেদেশটিতে দেখার মতো বহু ক্যাসেল রয়েছে। এসব ক্যাসেলে একসময় দাসদের বন্দি করে রাখা হতো। এরপর এখান থেকেই দাসদের জাহাজে তোলা হতো বিদেশে নেওয়ার জন্য। ক্যাসেলগুলোকে এখন পর্যটকদের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

পাথরের গ্রামঘুরতে ভুলবেন না কাকুম ন্যাশনাল পার্ক। সেইসঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন দৈত্যাকার পাথরের গ্রাম টঙ্গো। সেখানে দেখা মিলবে বিশালাকার সব পাথরের।  

গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র
প্রকৃতির সাজানো এক অবাক বিস্ময়ের নাম গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। চারিদিকে রুক্ষ পাথরে গড়া এক অতুলনীয় পাথুরে স্থাপত্য।

এটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত একটি গিরিখাত। নয়নাভিরাম এই গিরিখাত দৈর্ঘ্যে ২৭৭ মাইল, প্রস্থে সর্বোচ্চ ১৮ মাইল। গিরিখাতের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কলোরাডো নদী।  

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নগ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পর্যটকদের জন্য বেশ আকর্ষণীয় স্থান। সেখানে বছরে প্রায় ৫০ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটে। তবে চাইলেই যখন তখন গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের যাওয়া যায় না। মনোরম এ স্থানটি ঘুরতে আপনাকে নিতে হবে কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি। রয়েছে কলোরাডো নদীতে নৌকাভ্রমণের মধ্য দিয়ে চারপাশের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগও।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৯
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।