রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতে ফুলের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় এবার উৎপাদন কম ছিল।
তারা বলছেন, একেক জন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা করে লোকসান দিয়ে ফেলেছেন। আর লাভবান হয়েছেন চাষিরা।
আগারগাঁওয়ের ফুলের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী মো. আকাশ বলেন, গোলাপে লস হয়েছে সবচেয়ে বেশি। প্রতি হাজার গোলাপ ১৩ হাজার টাকায় কিনতে হলেও বিক্রি করতে হয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায়। তার কাছে এখনো তিন হাজার গোলাপ রয়ে গেছে।
আতিক নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দু'টি উৎসব একইদিন হওয়ায় ব্যবসা আরও কম হয়েছে। আলাদা দিনে হলে বিক্রি বেশি হতো। কিন্তু আমাদের ধারণা উল্টো ছিল। যে কারণে লোকসান হয়েছে।
তবে শাহবাগের খুচরা দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ব্যবসা ভালো হয়েছে। ১০ টাকার গোলাপ তারা ৩০ টাকা পিসেও বিক্রি করেছেন।
মো. ইলিয়াছ নামের এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, এবার গোলাপ একটু কম বিক্রি হয়েছে। দু'টি দিবস একসঙ্গে পালন হওয়ায় ফুল তুলনামূলক কম বিক্রি হয়েছে। তবে লোকসান হয়নি। আলাদা দিনে উৎসব হলে দু’দিনই বিক্রি হতো। এতে লাভ আরও বেশি হতো।
সুজন জানান, গোলাপ পাইকারি বাজার থেকে কেনা হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকায়, বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ২৫-৩০ টাকা। রজনীগন্ধার স্টিক কেনা হয়েছে ৪ থেকে ৫ টাকায়, বিক্রি হয়েছে ৭ থেকে ৮ টাকায়। গাঁদা ফুলের মালা ৮ থেকে ১০ টাকায় কিনে বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
এদিকে কাঁচা ফুলের বাজারকে আর্টিফিসিয়াল ফুলের বাজার হুমকির মুখে ফেলছে বলেও মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, বিয়ে কিংবা যেকোনো সামাজিক উৎসবে আগে কাঁচা ফুলের বিকল্প ছিল না। কিন্তু এখন সেটা দখল করে নিচ্ছে আর্টিফিসিয়াল ফুল। ফলে সভা-সেমিনার-অনুষ্ঠানে তাদের কদর কমে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
ইইউডি/জেডএস