ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

অগ্নিঝরা মার্চের শুরু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২০
অগ্নিঝরা মার্চের শুরু

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০১ মার্চ ২০২০ রোব। ১৭ ফাল্গুন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৪৯৮- অভিযাত্রী ভাস্কো দা গামা মোজাম্বিক আবিষ্কার করেন।
১৬৪০- মাদ্রাজে বাণিজ্য কেন্দ্র স্থাপনে ভারতের অনুমতি পায় ব্রিটিশরা।
১৮১১- মামলুকদের পরাস্ত করে মোহাম্মদ আলীর মিশরের ক্ষমতারোহন।
১৮১৫- এলবা দ্বীপ থেকে পলায়নের পর নেপোলিয়ন বোনাপার্টের ১০০ দিনের শাসনকাল শুরু হয়।
১৯১২- আলবার্ট বেরি প্রথম প্লেন থেকে প্যারাসুটের সাহায্যে মাটিতে নামেন।
১৯১৪- চীন আন্তর্জাতিক পোস্টাল ইউনিয়নে যোগ দেয়।
১৯৪৯- রুশ প্লেন দুর্ঘটনায় ৩৮৫ জন নিহত হন।
১৯৭১- অগ্নিঝরা মার্চের শুরু।

এ মাসের ২৫ তারিখ থেকে লেখা শুরু হয়েছিল এক অমর মহাকাব্য। যার নাম বাংলাদেশ। বাঙালির জীবনে ভাষা আন্দোলনের স্মারক মাস ফেব্রুয়ারির পর মার্চের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত লড়াই শুরু হয় এ মার্চেই। এসময়ই বাঙালি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। উত্তাল একাত্তরে পুরো মার্চজুড়ে বাঙালির চোখে ছিল স্বাধীনতার স্বপ্ন।

আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১ মার্চ, ১৯৭১ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের সাধারণ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। মুহূর্তে গর্জে উঠে পুরো দেশ। পূর্ব বাংলার ছাত্র সমাজ ও সাধারণ মানুষ স্লোগান তুলে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’।

মার্চ মাসেই বাঙালি জাতি তার চেতনাকে নতুন করে শাণিত করে। নতুন শপথে বলীয়ান হয়। অত্যাচার, নিপীড়ন আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্মারক মাস হিসেবে মার্চ প্রতিবারই আমাদের নতুন করে পথ দেখায়। আমরা আজকের দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই বীর শহীদদের, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের মূল্যবান জীবন দান করে প্রতিরোধ সংগ্রামে প্রেরণা যুগিয়েছিলেন।

১৯৭১- স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
১৯৯৭- বাংলাদেশে প্রথম টেলিফোন ব্যাংকিং সার্ভিস চালু হয়।

জন্ম
১৯৪০- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফাত জামিল বীর বিক্রম।
১৬১১- ব্রিটিশ গণিতবিদ, জ্যামিতিজ্ঞ এবং জ্যোতির্বিদ জন পেল।
১৮৬১- বাঙালি ইতিহাসবিদ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়।
১৮৯২- জাপানের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও ছোট গল্পের জনক রিয়ুনোসুকি অকুতাগাওয়া।
১৯৩১- ইতালিয়ান রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী লামবের্তো দিনি।
১৯৫৬- লিথুয়ানিয়ার প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রপতি ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট।
১৯৪৫- বাঙালি যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী প্রবীর ঘোষ।

মৃত্যু
১৯১১- ডাচ জৈবরসায়নবিদ, রসায়নে প্রথম নোবেলজয়ী ইয়াকোবুস হেনরিকুস ফান্ট হফ।
১৯২৪- ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী গোপীনাথ সাহা।

১৯০৬ সালে হুগলীর শ্রীরামপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অসহযোগ আন্দোলনের সময় বিদ্যালয় ত্যাগ করে বিপ্লবী সংগঠনের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। ১৯২৪ সালের ১২ জানুয়ারি অত্যাচারী পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্টকে নিশ্চিহ্ন করতে গিয়ে ভুল করে আর্নস্ট ডে সাহেবকে গুলি করে হত্যা করেন। গ্রেফতারের পর আত্মপক্ষ স্বমর্থনে অস্বীকৃত হন এবং ‘টেগার্ট হত্যাই ছিল মূল উদ্দেশ্য’ এ কথা স্বীকার করেন। ফলাফলে একই বছরের ১ মার্চ ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন এ তরুণ বিপ্লবী। ওইদিন কলকাতাসহ ব্রিটিশ ভারতের অনেক স্থানে শোকসভা হয়।

১৯৪৩- ফ্রান্স-সুইস চিকিৎসক ও ব্যাকটেরিওলজিস্ট এবং ইরসিনিয়া পেস্টিসের আবিষ্কারক আলেকজেন্ডার ইরসিন।
১৯৯৫- চিকিত্সাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী জর্জেস জেএফ কোহলার।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।