ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এইদিন’।
০৯ মার্চ ২০২০, সোমবার। ২৩ ফাল্গুন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এইদিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৮৫৮- সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর তৎকালীন বার্মার রেঙ্গুনে নির্বাসিত হন।
১৯১৮- রাশিয়ার রাজধানী পেত্রোগ্রাদ থেকে মস্কোতে স্থানান্তরিত হয়।
১৯৫৬- মরক্কো ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে।
জন্ম
১৪৫২- নৌ-অভিযাত্রী আমেরিগেডেস পুচি। তার নামানুসারে আমেরিকার নামকরণ করা হয়।
১৪৫৪- ইতালিয়ান মানচিত্রকর এবং অভিযাত্রী আমেরিগও ভেসপুসি।
১৮৯০- রুশ রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রী ভ্যাচেস্লাভ মলোটভ।
১৯০৭- রোমানিয়ান লেখক মির্চা এলিয়াদ।
১৯২৩- নোবেলজয়ী অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিদ ওয়াল্টার কোন।
১৯২৯- প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবপুরে তার জন্ম। ১৯৪৭ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে অধ্যয়নকালে সিলেটে গণভোটে কাজ করার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যে আসেন তিনি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ৫২'র ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সমাবেশে জিল্লুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে বৃহত্তর ময়মনিসংহ জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয়দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণ-আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
জিল্লুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি মুজিবনগর সরকারের পরিচালিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং জয়বাংলা পত্রিকার প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে ২০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি মন্ত্রী ছিলেন। ২০০৯ সালে জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৩৪- বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী।
১৯৩৪ সালের ৯ মার্চ ফেনীতে জন্মেছিলেন তিনি। প্রাথমিক জীবনে তিনি বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন এবং বইয়ের প্রচ্ছদ ও সচিত্রকরণের কাজ করেছেন। ছায়াছবি নামে একটি চলচ্চিত্র সাময়িকী যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেছিলেন। ১৯৫৯ এবং ১৯৬১ সালে রেলওয়ের টাইমটেবিলের প্রচ্ছদ এঁকে সেরা পুরস্কার লাভ করেন তিনি। তেলরং, জলরং, কালি-কলম, মোমরং, রেশমছাপ ইত্যাদি নানা মাধ্যমে কাইয়ুম চৌধুরী কাজ করেছেন। তার ছবিগুলো মূলত নকশাপ্রধান। শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ২০১০ সালে সুফিয়া কামাল পদক লাভ করেন এবং ২০১৪ সালে শহীদ আলতাফ মাহমুদ পদকে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর কাইউম চৌধুরী বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ক্ল্যাসিকাল মিউজিক ফেস্টিভালের চতুর্থ দিনে তার বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে তাকে সিএমএইচ নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৯৪৩- মার্কিন দাবা খেলোয়াড় ও লেখক রবার্ট জেমস ববি ফিশার।
১৯৫১- ভারতীয় তবলা বাদক, সুরকার ও অভিনেতা জাকির হোসেন।
১৯৫৯- নোবেলজয়ী জাপানি পদার্থবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ তাকাকি কাজিতা।
১৯৭৫- আর্জেন্টাইন ফুটবলার হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন।
১৯৮৩- মেক্সিকান গায়ক, গীতিকার ও অভিনেত্রী মাইটে পেরনি।
মৃত্যু
১৬৬১- ফরাসি শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী কার্ডিনাল মাযারিন।
১৮৫৮- ভারতীয় কবি, পণ্ডিত ও নাট্যকার মদনমোহন তর্কালঙ্কার।
১৮৯৭- আফগান ভাবাদর্শী ও অ্যাকটিভিস্ট সাইয়িদ জামাল উদ্দিন আফগানি।
১৯৮১- নোবেলজয়ী চিকিৎসাবিজ্ঞানী ম্যাক্স ডেলবুর্ক।
১৯৯৬- মার্কিন অভিনেতা ও গায়ক জর্জ বার্নস।
২০১২- ভারতের চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক জয় মুখার্জি।
২০১৫- ফরাসি মুষ্টিযোদ্ধা অ্যালেক্সিস ভাস্টিনে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
টিএ