ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এইদিন’।
০৯ মে ২০২০, শনিবার। ২৬ বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
• ১৫০২- ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার চতুর্থ অভিযাত্রা শুরু করেন।
• ১৭৮৮- ব্রিটেনের ক্রীতদাস প্রথা বিলোপের জন্য পার্লামেন্টে বিল পাস।
• ১৮৭৪- মুম্বাইয়ে প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চালু হয়।
• ১৯৮৪- প্রথম ভারতীয় অভিযাত্রী হিসেবে ফু দোর্ অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয় করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযাত্রায় প্রাণ হারান।
• ১৯৯২- আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের ওপর হামলা চালিয়েছিল।
• ১৯৯৪- নেলসন ম্যান্ডেলা বর্ণবৈষম্যহীন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
জন্ম
• ১৪৫৪- ইতালির ব্যবসায়ী, অভিযাত্রী, নৌ-বিশারদ এবং মানচিত্র নির্মাতা আমেরিগো ভেসপুসি।
• ১৮০০- আমেরিকার দাস বিদ্রোহের নেতা জন ব্রাউন।
মৃত্যু
• ১৯০৩- প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর পল গোগাঁ।
• ১৯৩১- যুক্তরাষ্ট্রের পদার্থবিদ এলবার্ট মিকেলসন।
• ২০০৯- পরমাণুবিজ্ঞানী, বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে ১৯৪২ সালে তার জন্ম। বাবা আবদুল কাদের মিয়া এবং মাতা ময়জুন নেছা বিবি। তিনি সমধিক পরিচিত ছিলেন সুধা মিয়া নামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৬১ সালে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান এবং ১৯৬২ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবছরে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে ‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’ এবং ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি পশ্চিম জার্মানিতে পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে তিনি ইটালিভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৫-৮২ সালে তিনি ভারতের আণবিক শক্তি কমিশনের দিল্লির ল্যাবরেটরিতে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে তিনি পুনরায় পরমাণু শক্তি কমিশনে যোগ দেন এবং ১৯৯৯ সালে এর চেয়ারম্যান হিসেবে অবসর নেন। তার গবেষণামূলক ও বিজ্ঞান বিষয়ক বহু প্রবন্ধ দেশি-বিদেশী সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা Fundamentals of Electromagnetics (1982), Fundamentals of Thermodynamics (1988), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ, বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র। বিজ্ঞানে অবদানের জন্য বিক্রমপুর স্যার জগদীশচন্দ্র বসু সোসাইটি তাকে ‘স্যার জগদীশচন্দ্র বসু স্বর্ণপদক-৯৭’ দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০২ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
টিএ