ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এইদিন’।
২৩ মে ২০২০, শনিবার। ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৪৩০- জোয়ান অব আর্ককে গ্রেফতার করে ব্রিটিশরা।
১৫৬৪- নেদারল্যান্ডস তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৮১৮- প্রথম বাংলা সংবাদপত্র ‘সমাচার দর্পণ’ প্রকাশিত হয়।
১৯১১- নিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়।
১৯১৫- অস্ট্রিয়া এবং হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ইতালি যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯২০- এশিয়ার প্রথম কমিউনিস্ট সংগঠন ইন্দোনেশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়।
১৯৪৭- ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা ভারত বিভক্ত করার ঐতিহাসিক প্রস্তাব মেনে নেয়।
১৯৮৩- কুমারী বাচেন্দী পাল প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন।
১৯৯৩- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন করে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আবদুস সালামকে সম্মানপূর্বক ডিগ্রি দেওয়া হয়।
জন্ম
১৭৯৯- কবি টমাস হুড।
১৮১০- আমেরিকার সাংবাদিক ও নারীবাদী মার্গারেট ফুলার।
১৮৫৫- ব্রিটিশ নারীবাদী ইসাবেলা ফোর্ড।
১৮৮১- রোমানীয় কবি তুদোর আর্গেজি।
১৮৯১- নোবেলজয়ী সুইডিস কবি পার ল্যাগেরকভিস্ত।
১৯২৪- কবি, অনুবাদক, সংস্কৃতিকর্মী, সংগঠক ও শিক্ষাবিদ কবি সানাউল হক।
তার জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চাউরা গ্রামে, ১৯২৪ সালের ২৩ মে। চল্লিশের দশকের একজন খ্যাতিমান কবি হিসেবে সানাউল হক পরিচিতি লাভ করেন। কবিতার মাধ্যমে তিনি মানবজীবন ও জগতের ছবি আকার চেষ্টা করেছেন যা সমকালের কবিমহল এবং পাঠকদের কাছে সমাদৃত হয়। বিশেষভাবে তার স্বদেশপ্রেমের কবিতাগুলো পাঠককে বিশেষ আকৃষ্ট করে। সাহিত্যে অবদানের জন্য সানাউল হক বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৪), ইউনেসকো পুরস্কার (১৯৬৫) ও একুশে পদক (১৯৮৩) ভূষিত হন। ১৯৯৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৪৭- ব্রিটিশ ভাষাবিজ্ঞানী বার্নার্ড কমরি।
১৯৫১- দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আনাতোলি কারপভ।
মৃত্যু
১৮৫৭- ফরাসি গণিতবিদ অগুস্তাঁ লুই কোশি।
১৯০৬- নরওয়েজীয় নাট্যকার ও কবি হেনরিক ইবসেন।
১৯৩০- প্রত্মতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৩৭- মার্কিন ধনকুবের ও শিল্পপতি জন ডেভিড রকফেলার।
২০০৯- রিপাবলিক অব কোরিয়ার ১৬তম প্রেসিডেন্ট রহ-মু-হিয়ান।
২০১৬- বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকতার অগ্রদূত নূরজাহান বেগম।
সাহিত্যক্ষেত্রে মেয়েদের এগিয়ে আনার লক্ষ্যে ১৯৪৭ সালের ২০ জুলাই কলকাতা থেকে বেগম পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। ১৯৫০ সালে এটি ঢাকায় চলে আসে। বেগম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সওগাত পত্রিকার সম্পাদক ও নূরজাহান বেগমের বাবা মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন। বেগম’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বেগম সুফিয়া কামাল। তবে চার মাস পর থেকেই পত্রিকাটির সম্পাদনা শুরু করেন নূরজাহান বেগম। বেগম’র প্রথম ছাপা সংখ্যা ছিল ৫০০ কপি। মূল্য ছিল চার আনা।
সাহিত্যিক নূরজাহান বেগম ১৯২৫ সালের ৪ জুন চাঁদপুরের চালিতাতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নারীর অবস্থার উন্নয়ন ও সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য নূরজাহান বেগম বহু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন। ১৯৯৭ সালে তিনি রোকেয়া পদক পান। এছাড়া বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, লেখিকা সংঘ, কাজী জেবুন্নেসা মাহাবুবুল্লাহ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ সাংবাদিক ফোরাম, রোটারি ক্লাব প্রভৃতি সংগঠন থেকে তিনি স্বর্ণপদক পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
টিএ