বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বলতে বোঝায় সূর্যের ওপর চাঁদের ছায়া পড়ে। কিন্তু সেটা সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে ঢাকতে পারবে না।
আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ রোনাকী খোন্দকার জানিয়েছেন, সকাল ৯টা ৪৬ মিনিট ৬ সেকেন্ডে কঙ্গোর ইম্পফোল্ডো শহরে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে কঙ্গোর বোমা শহরে ১০টা ৪৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ গ্রহণ ভারতের যোশীমঠ শহরে দেখা যাবে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ শেষ হবে ফিলিপিনের সামার শহরে দুপুর ২টা ৩১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে। আর সূর্যগ্রহণ শেষ হবে ফিলিপিনের মিন্দানাও শহরে দুপুর ৩টা ৩৪ মিনিটে।
আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশের আকাশেও আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। রাজশাহীর আকাশে সূর্যগ্রহণ প্রথম শুরু হবে। আর সবশেষে গ্রহণ শেষ হবে চট্টগ্রামের আকাশে।
ঢাকায় সূর্যগ্রহণ শুরু হবে বেলা ১১টা ২৩ মিনিট ৩ সেকেন্ডে, কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ১টা ১২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে। আর শেষ হবে দুপুর ২টা ৫২ মিনিট ৩ সেকেন্ডে।
ময়মনসিংহে গ্রহণ শুরু হবে বেলা ১১টা ২৩ মিনিট ২ সেকেন্ডে, কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ১টা ১২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে ও গ্রহণ শেষ হবে ২টা ৫১ মিনিট ২ সেকেন্ডে।
চট্টগ্রামে গ্রহণ শুরু হবে বেলা ১১টা ২৮ মিনিট ১২ সেকেন্ডে, কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ১টা ১৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে ও গ্রহণ শেষ হবে ২টা ৫৫ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে।
সিলেটে গ্রহণ শুরু হবে বেলা ১১টা ২৭ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে, কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ১টা ১৬ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে ও গ্রহণ শেষ হবে ২টা ৫৪ মিনিট ৫২ সেকেন্ডে।
খুলনায় গ্রহণ শুরু হবে বেলা ১১টা ২০ মিনিট ১৯ সেকেন্ডে, কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ১টা ৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে ও গ্রহণ শেষ হবে ২টা ৫০ মিনিট ৯ সেকেন্ডে।
বরিশালে গ্রহণ শুরু হবে বেলা ১১টা ২৩ মিনিট ৫ সেকেন্ডে, কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ১টা ১২ মিনিটি ৩২ সেকেন্ডে ও গ্রহণ শেষ হবে ২টা ৫২ মিনিট ১ সেকেন্ডে।
রাজশাহীতে গ্রহণ শুরু হবে বেলা ১১টা ১৭ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে, কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ১টা ৬ মিনিটি ২৬ সেকেন্ডে ও গ্রহণ শেষ হবে ২টা ৪৭ মিনিটি ৫৫ সেকেন্ডে।
রংপুরে গ্রহণ শুরু হবে বেলা ১১টা ১৭ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে, কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ১টা ৭ মিনিটি ২০ সেকেন্ডে ও গ্রহণ শেষ হবে ২টা ৪৮ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে।
সর্বশেষ বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর। সেটাও বাংলাদেশ থেকে আংশিক দেখা গিয়েছিল।
সূর্যগ্রহণে কুসংস্কার:
সূর্যগ্রহণ নিয়ে গ্রামে এখনো নানা কুসংস্কার রয়েছে। বলা হয়ে থাকে গর্ভবতী মায়েরা এসময় বাইরে বের হলে গর্ভপাত হবে। কিংবা গর্ভের সন্তান হবে বিকলাঙ্গ। আকাশের দিকে তাকালে চোখ অন্ধ হয়ে যাবে। গ্রহণের সময় ভাত খেলে মৃত্যু বা কঠিন অসুখ হবে। তবে এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
সূর্যগ্রহণ যেভাবে দেখতে হয়:
সূর্যগ্রহণ দেখার জন্যও নানা গ্রামীণ পদ্ধতির প্রচলন আছে। কাসার থালায় পানি নিয়ে তাতে সূর্য দেখার চেষ্টা করা হয় এখনো। এছাড়া এক্সরে ফিল্ম, কালো গগলসের ব্যবহারও করা হয়। তবে এসব কোনো কাজে লাগে না। এক্সে ফিল্ম বা সাধারণ গগলসে আরও চোখের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়।
সূর্যগ্রহণের সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকানো চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কখনোই এমনটি করা উচিত নয়। সূর্যগ্রহণ দেখতে হয় টেলিস্কোপ বা সোলার ফিল্টার দিয়ে।
আয়োজন:
প্রতিবছর সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ দেখার জন্য বিজ্ঞান যাদুঘর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংগঠন নানা আয়োজন হাতে নেয়। তবে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে এবার বড় রকমের তেমন কোনো আয়োজন নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
ইইউডি/আরবি/