ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

শিগগিরই সংগীত নীতিমালা প্রণয়ন: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২০
শিগগিরই সংগীত নীতিমালা প্রণয়ন: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের উদ্যোগে ৩টি সঙ্গীত সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা

ঢাকা: দেশের সংগীতের সুরক্ষায় একটি সংগীত নীতিমালা প্রণয়নে শিগগিরই সংশ্লষ্টিদের মতামত নিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

রোববার (৪ অক্টোবর) দেশের ৩টি সঙ্গীত সংগঠনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

কে এম খালিদ বলেন, দেশের সংগীতের সুরক্ষা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি সংগীত নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন। শিগগিরই এই নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে সংগীত সংশ্লষ্টিদের মতামত নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং মতামতের ভিত্তিতে নীতিমালা প্রণয়ণ করা হবে।

দেশের বিশিষ্ট গীতিকবি, খ্যাতিমান সুরকার ও নন্দিত কণ্ঠশিল্পীদের গঠিত ৩টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনগুলো হলো— সিঙ্গার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, গীতিকবি সংঘ এবং মিউজিক কম্পোজার সোসাইটি বাংলাদেশ।

নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ও সিঙ্গার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী। এছাড়া গীতিকার আসিফ ইকবাল, কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, গীতিকবি কবির বুকুল, মিউজিক কম্পোজার ফরিদ আহমেদ, জয় শাহরিয়ার প্রমুখ।

জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, এ দেশের সংগীত জগতের জন্য আজ একটি অসাধারণ মুহূর্ত। কারণ, এ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সংগীতের মূল অংশীজন তথা গীতিকবি, সুরস্রষ্টা ও কণ্ঠশিল্পীদের ৩টি শক্তিশালী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ৩টি সংগঠনের সমন্বয়ে আজ এক শক্তিশালী সাংগঠনিক অভিযাত্রার শুরু হলো।

মিউজিক কম্পোজার সোসাইটি বাংলাদেশ এর সভাপতি নকিব খান বলেন, সঠিক আইন না থাকায় এবং বিদ্যমান আইনের উপযুক্ত প্রয়োগ না হওয়ায় এদেশের সংগীত অঙ্গনের সার্বিক উন্নয়ন এবং সংগীত কর্মীদের প্রাপ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হচ্ছে না।

গীতিকবি সংঘের প্রধান সমন্বয়ক শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, সংগীতের রয়্যালটি এবং সংগীত সংশ্লিষ্টদের নিজ নিজ অধিকার সম্পর্কে সচতেনতা তৈরির জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন।

সভাপতির বক্তব্যে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ দেশের সংগীতাঙ্গনের সকল সংগীত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন প্রয়োজন। এ দেশের গানের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ, প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২০
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।