নীলফামারী: বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে প্লেট ভরে খাবার নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু অল্প খেয়ে ঝুটা করে নষ্ট করেছেন খাবার। চিত্রটি একটি নীলফামারীর সৈয়দপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারের পাশের।
বিয়ে-বাড়িতে কিংবা কোনো অনুষ্ঠানের দাওয়াতে গেলেই কি আন্দাজ ভুলে যান লোকজন? প্লেটে কতটুকু নিলে হবে যাতে পেট ভরা যায়। নাকি খামে হাজার টাকা দিয়েছেন তাই খাবার উসুল করার জেদ, কোনটা? এই যে থামেন। নবাবী বাদ দেন। জানেন বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতি। দিনমজুর, গরিবরা দিশেহারা। অথচ নবাবরা এখানে প্লেটে হরেক রকম খাবার সাজিয়ে অল্প খেয়ে ঝুটা করে নষ্ট করছেন। প্রতিটি মানুষের বিবেক আছে তাই কাজে লাগান।
নবাবী দেখাতে গিয়ে খাবার নষ্ট করবেন না। কারণ এমন পরিবার রয়েছে যাদের না খেয়ে আজও ঘুমাতে হয়। কিন্তু তারপরেও কারো কাছে কিছু চান না। আর বিয়ে-বাড়ি কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে খাবার বাচলে ফ্রিজে রাখেন, দুইদিন/তিন দিন বা তার অধিক রেখে নিজেই খান, কাউকে দিতে হবে না। আর যদি অনুষ্ঠানে খাবার বেশিই বেচেই থাকে, যদি আপনি মনে করে দুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দেওয়া যায় কিনা।
সৈয়দপুরে আমাদের প্রিয় সৈয়দপুরের নওশাদ আনসারী ও স্বপ্নাদিশারীর খন্দকার আবিদা সুলতানা রিয়া বলেন, অনুষ্ঠানের পর খাবার বাচলে আমাদের টিমকে খবর দিন। বেচে যাওয়া খাবার নিজ দায়িত্বে দুস্থদের পেট ভরাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
এএটি