চ্যাম্পিয়নস লিগের সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ বুধবার টুর্নামেন্টের প্রথম ক্লাব হিসেবে ৩০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ৫-২ গোলে জিতেছিল তারা।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ইয়ুর্গেন ক্লপ অলৌকিক কিছুর আশা করলেও বাস্তবে তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। বার্নাব্যুতে শুরু থেকেই নির্ভার ছিল রিয়াল। ঘরের মাঠ আর চেনা দর্শকের সঙ্গে সব মিলিয়ে আনচেলত্তির দলের ওপর একেবারেই চাপ ছিল না। ম্যাচে ৫৪ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা রিয়াল গোলের জন্য ১৭টি শট নেয়, এর ৮টি ছিল লক্ষ্যে। মৌসুমের শুরু থেকেই উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া লিভারপুলের ৯ শটের ৫টি ছিল লক্ষ্যে।
লিভারপুলের রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করা রিয়াল এগিয়ে যায় ৭৮ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে এদুয়ার্দ কামাভিঙ্গার বাড়ানো বল ফন ডাইকের চ্যালেঞ্জের মুখে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি বেনজেমা। ছুটে গিয়ে বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি ভিনিসিয়ুস। মনে হচ্ছিল নষ্ট হচ্ছে আরেকটি সুযোগ। কিন্তু ভারসাম্য হারিয়ে বক্সে পড়ে গেলেও ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার পাস বাড়ান বেনজেমাকে। ফরাসি ফরোয়ার্ড অনায়াসেই সারেন বাকি কাজটুকু।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে পেনাল্টির আবেদন করেছিল রিয়াল। তবে ভিএআরের সাহায্যে বেঁচে যায় লিভারপুল। পরে ম্যাচের বাকি সময় আর গোলের দেখা না পেলে ১-০ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আনচেলত্তির শিষ্যরা। রাতের অপর ম্যাচে ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে নাপোলিও। প্রথম লেগে ২-০ গোলের জয় পেয়েছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
এআর