মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ শেষ পর্যন্ত লিভারপুলেই থাকছেন। নতুন করে ২ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।
এক সময় অবশ্য মনে হয়েছিল, হয়তো তিনি ক্লাব ছাড়বেন। সৌদি প্রো লিগ থেকে আসা বিশাল অঙ্কের প্রস্তাবও সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
সৌদির চোখধাঁধানো প্রস্তাব
সৌদি আরবের একটি ক্লাব সালাহকে অফার করেছিল প্রায় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড। এত বড় অঙ্কের অর্থ যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য লোভনীয় হতে পারে। সালাহকে ঘিরে 'হোমকামিং' ও আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার হিসেবে আরও বড় হওয়ার সুযোগও ছিল সেখানে।
তবু এই সুযোগ ফিরিয়ে দিয়ে লিভারপুলেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী ছিল?
সালাহ সবসময়ই লিভারপুলকে ভালোবাসেন। আট বছর ধরে ক্লাবের হয়ে খেলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ক্লাবটির সবচেয়ে বড় তারকাদের একজন হিসেবে।
তবে নতুন চুক্তির ব্যাপারে দুই পক্ষেরই কিছু শর্ত ছিল। মার্চের শেষ দিকে সালাহ, তার এজেন্ট এবং লিভারপুলের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হয়। এরপর দ্রুতই দুই বছরের নতুন চুক্তিতে সই করেন তিনি। এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে যখন তার বয়স ৩৪ হবে।
সালাহ এখন লিভারপুলে সাপ্তাহিক প্রায় ৪ লাখ পাউন্ড আয় করবেন। তার বয়সী খেলোয়াড়দের জন্য এটা বেশ বড়সড় নিরাপত্তা।
টাকার চেয়ে স্বপ্ন বড়
যদি শুধু টাকাই মূল বিষয় হতো, তাহলে সালাহ এতদিনে সৌদি আরবেই চলে যেতেন। কিন্তু তার চোখ এখনো ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে।
তিনি চান লিভারপুলকে ২০তম লিগ শিরোপা এনে দিতে, আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে এবং ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বপ্নও বাস্তব করতে।
নিজেকে ফিট ও শীর্ষ পর্যায়ে ধরে রাখার লক্ষ্যেও ইউরোপে খেলা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সালাহ, বিশেষ করে সামনে বিশ্বকাপ ও আফ্রিকান কাপ অব নেশনসে মিশরের হয়ে ভালো কিছু করতে চান তিনি।
পরিবারও বড় ফ্যাক্টর
সালাহর স্ত্রী ও দুই কন্যা বর্তমানে লিভারপুল শহরেই সুখে-শান্তিতে আছেন। পরিবারের আরামদায়ক জীবনও তার সিদ্ধান্তে প্রভাব রেখেছে।
স্পোর্টিং চ্যালেঞ্জ
সালাহর জন্য টাকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সবচেয়ে বড় কথা হলো স্পোর্টিং চ্যালেঞ্জ, স্বপ্ন পূরণের তাগিদ এবং পরিবারের শান্তি—এই তিনটি কারণই তাকে লিভারপুলে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
এমএইচএম