এক বিভীষিকাময় রাত কাটলো ইন্টার মায়ামির। মিনেসোটা ইউনাইটেডের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা।
প্রথম থেকেই দাপট মিনেসোটার
মিনেসোটা ইউনাইটেড ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক ও সংগঠিত। ইন্টার মায়ামির রক্ষণ যেন কিছুই করতে পারছিল না। প্রথমার্ধেই দুই গোল করে এগিয়ে যায় মিনেসোটা। ম্যাচের লাগাম যেন তখনই ছুটে যায় মায়ামির হাত থেকে।
মেসির একমাত্র গোল, এরপর বিশৃঙ্খলা
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জ্বলজ্বলে এক মুহূর্ত আনেন লিওনেল মেসি। দীর্ঘদিনের সতীর্থ জর্দি আলবার পাসে দুর্দান্ত এক গোল করেন তিনি, যা কিছুক্ষণের জন্য ম্যাচে ফেরার আশা জাগায়। কিন্তু সে আশা টিকে ছিল খুবই অল্প সময়।
৬৮ মিনিটে মার্সেলো ওয়েইগান্দ আত্মঘাতী গোল করে বিপদে ফেলেন নিজের দলকে। তার দুই মিনিট পরই রবিন লডের গোলে মিনেসোটা স্কোরলাইন ৪-১ করে ফেলে। এরপর ইন্টার মায়ামির রক্ষণভাগ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে—ছিল না কোনো প্রতিরোধ, ছিল না কোনো গতি কিংবা সমন্বয়।
পয়েন্ট টেবিলের চিত্র ও পরিস্থিতি
এই জয়ে মিনেসোটা ইউনাইটেড পশ্চিম কনফারেন্সে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শীর্ষে থাকা ভ্যাঙ্কুভার থেকে তারা পিছিয়ে মাত্র ৪ পয়েন্টে।
অন্যদিকে, ইন্টার মায়ামি ২১ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে পূর্ব কনফারেন্সে চতুর্থ স্থানে। এটি তাদের লিগে দ্বিতীয় পরাজয়।
ভক্তদের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু: মাচেরানো
ম্যাচ শেষে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইন্টার মায়ামির ভক্তরা। অনেকেই সরাসরি আঙুল তুলেছেন কোচ হাভিয়ের মাচেরানোর দিকে।
কেউ লিখেছেন, “ক্লাব বিশ্বকাপের আগে মাচেরানোকে সরিয়ে দাও, এখনো সময় আছে। ”
আরেকজনের মন্তব্য, “মাচেরানো ফুটবলে যা ছোঁয়, নষ্ট করে দেয়। মেসির শেষ সময়টা এমনভাবে নষ্ট হতে দিতে পারি না। ”
অন্য একজন সরাসরি লেখেন, “প্রতিদিন মেসির সঙ্গে যা হচ্ছে, তা অপমান ছাড়া কিছু নয়!”
মাচেরানোর জবাব: দায় আমারই
সব অভিযোগের মাঝে সংবাদ সম্মেলনে নিজেই দায় স্বীকার করেছেন আর্জেন্টাইন কোচ হাভিয়ের মাচেরানো। তিনি বলেন, “যখন খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স পড়ে যায়, তখন সেটার সম্পূর্ণ দায় আমার। যদি আমি তাদের অনুপ্রাণিত করতে না পারি, অথবা তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা না দিতে পারি, তাহলে দোষটা আমারই। ”
এমএইচএম