২০২৫ সাল যেন উসমান দেম্বেলের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌসুম। ইনজুরি-ভোগা অতীতকে পিছনে ফেলে এবার তিনি নিজের নাম তুলেছেন বিশ্বের সেরা ফুটবলারের আলোচনায়।
পিএসজির হয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের লক্ষ্যে থাকা দেম্বেলে এবারের ফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে মাঠে নামবেন মিউনিখে। প্যারিসিয়ানদের জার্সিতে ইতিহাস গড়ার সুযোগ তার সামনে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়াও সামনে রয়েছে আরও দুটি বড় মঞ্চ—নেশনস লিগ সেমিফাইনালে (স্পেনের বিপক্ষে খেলা), আর তারপর ক্লাব বিশ্বকাপ। দেম্বেলের জন্য এটি যেন এক টানা পরীক্ষা ও প্রমাণের মৌসুম।
মাঠে দাপট: সংখ্যাতেই কথা বলছে দেম্বেলের নাম
দেম্বেলে এখন পর্যন্ত এই মৌসুমে ৫৪টি ম্যাচ খেলেছেন—৪৮টি পিএসজির হয়ে এবং ৬টি ফ্রান্সের হয়ে। মৌসুম শেষে সংখ্যাটি ৬০ ছাড়িয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০২৫ সালে তার পারফরম্যান্স আরও উজ্জ্বল—মাত্র ২৭ ম্যাচেই করেছেন ২৫টি গোল, সঙ্গে রয়েছে ৬টি অ্যাসিস্ট।
এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেম্বেলের পরিসংখ্যান:
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (১০ ম্যাচ): ৮ গোল, ৩ অ্যাসিস্ট
লিগ ওয়ান (১৩ ম্যাচ): ১৩ গোল, ১ অ্যাসিস্ট
ফরাসি কাপ (৩ ম্যাচ): ৩ গোল
সুপার কাপ (১ ম্যাচ): ১ গোল
অর্থাৎ প্রতি ম্যাচেই প্রায় একটির বেশি গোলে অবদান রাখছেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
ইনজুরি পেছনে ফেলে দারুণ ধারাবাহিকতা
দেম্বেলের ক্যারিয়ারে ইনজুরি ছিল বড় বাধা। তবে এবার লুইস এনরিকের অধীনে তিনি পেয়েছেন পূর্ণ আস্থা এবং ধারাবাহিকতা। কোচের সঙ্গে শুরুতে কিছু মতবিরোধ থাকলেও, ২০২৫ সালের শুরু থেকে দেম্বেলে এক নতুন ছন্দে ফিরেছেন।
এনরিকের একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত—দেম্বেলেকে ‘ফলস নাইন’ হিসেবে ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এমবাপ্পের অনুপস্থিতি বা ভূমিকার পরিবর্তনে তিনিই এখন পিএসজির আক্রমণের মুখ।
ব্যালন ডি’অরের পথে?
ফ্রান্স জাতীয় দলের সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পে–যিনি লা লিগার গোল্ডেন বুট ও পিচিচি জিতেছেন–তিনি দেম্বেলের একমাত্র বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যালন ডি’অর দৌড়ে।
তবে দেম্বেলের মৌসুমটি যে কল্পনার মতোই চলছে, তা বলাই যায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল, নেশনস লিগ এবং ক্লাব বিশ্বকাপে যদি পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেন, তাহলে ২০২৫ সালের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার খুব বেশি দূরে নয়।
এমএইচএম