এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরবর্তী প্রতিপক্ষ হংকং। আগামী অক্টোবর মাসে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটি ম্যাচ খেলবে জাভিয়ার কাবরেরার দল।
ইতোমধ্যে বাছাইপর্বে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। গত মার্চে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র এবং ঢাকায় সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হারের ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি জামাল ভূঁইয়া। তবে ভুটানের বিপক্ষে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে খেলেছিলেন তিনি এবং সেই ম্যাচে জিতেছিল বাংলাদেশ।
২৩ সদস্যের দল নিয়ে বুধবার নেপালের পথে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ। যাত্রার আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামাল। জানালেন দলের প্রস্তুতি, সম্ভাবনা এবং নিজের ইচ্ছার কথা।
নিয়মিত একাদশে জায়গা হারানোয় খানিকটা হতাশ হলেও কোচের সিদ্ধান্তকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে মেনে নিচ্ছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডার। তিনি বলেন, ‘আমার খারাপ লাগছে, আমি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দুইটা ম্যাচে খেলিনি। সর্বশেষ ম্যাচটা ভুটানের বিপক্ষে খেলেছি আর সেটি আমরা জিতেছি। কে খেলবে আর কে খেলবে না, এটা অবশ্যই কোচের সিদ্ধান্ত। তবে আমি খেলতে চাই, সব ম্যাচ খেলতে চাই। নেপালে মাঠে নামতে পারলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। ’
তবে পূর্ণশক্তির দল নিয়ে নেপাল সফরে যেতে পারছে না বাংলাদেশ। ইনজুরির কারণে নেই হামজা চৌধুরী, পাশাপাশি শমিত সোম ও ফাহামিদুল ইসলামও নেই। ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ভিয়েতনামে আছেন। তাদের অনুপস্থিতি দলের জন্য ভোগান্তির হবে বলেই মনে করেন জামাল, ‘অবশ্যই পাঁচ-ছয় জন খেলোয়াড় নেই, তাদের অনুপস্থিতি আমরা অনুভব করব। বিশেষ করে হামজা নেই, তাকে মিস করব। গতকালও ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। ওর ছোটখাটো ইনজুরি আছে, তবে বলেছে এটা গুরুতর কিছু নয়। হংকং ম্যাচে সে ফিরবে। ’
আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রস্তুতির পাশাপাশি ২০২২ সালে নেপালের বিপক্ষে হারের শোধও নিতে চাইবে কাবরেরার দল।
বাংলাদেশ দল: সুজন হোসেন, মেহেদি হাসান শ্রাবণ, রহমত মিয়া, তপু বর্মণ, মোহাম্মদ রিদয়, জামাল ভূঁইয়া, তাজ উদ্দিন, আরিফ হোসেন, শহরিয়ার ইমন, রাকিব হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, আব্দুল্লাহ ওমর, মিতুল মারমা, তারিক কাজী, পাপন সিং, মোহাম্মদ সোহেল রানা, সোহেল রানা, ঈসা ফয়সাল, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সুমন রেজা, সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানি, সাদ উদ্দিন, পাপ্পু হোসেন।
এআর/আরইউ