ঢাকা, রবিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩ মহররম ১৪৪৭

ফুটবল

গোল-বজ্রঝড়-লাল কার্ড: উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে চেলসির দাপুটে জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৪৬, জুন ২৯, ২০২৫
গোল-বজ্রঝড়-লাল কার্ড: উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে চেলসির দাপুটে জয় সংগৃহীত ছবি

ইতিহাস গড়ল চেলসি—২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে জায়গা করে নিল কোয়ার্টার ফাইনালে। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে শনিবার অতিরিক্ত সময়ে বেনফিকাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত করল শেষ আট।

৬৪তম মিনিটে রিস জেমসের চোখ ধাঁধানো ফ্রি-কিকে এগিয়ে যায় চেলসি। বাঁ দিক থেকে প্রায় অসম্ভব কোণ থেকে নেওয়া সেই শটটা সরাসরি জালে জড়িয়ে দেন ইংলিশ ডিফেন্ডার। তবে ম্যাচের নাটকীয়তা তখনো শেষ হয়নি।

নির্ধারিত সময়ের যোগ করা পঞ্চম মিনিটে, বিতর্কিত এক হ্যান্ডবলের সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় বেনফিকা। চেলসির মালো গুস্তোর হাত বলের সিদ্ধান্তটি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (VAR) মাধ্যমে রিভিউ করে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। ঠাণ্ডা মাথায় শট নিয়ে গোল করেন আর্জেন্টাইন তারকা আনহেল দি মারিয়া।

পেনাল্টির আগেই শুরু হয়েছিল প্রকৃতির খেলা—মাঠের কাছে বজ্রপাতের কারণে ম্যাচ বন্ধ করে দেন রেফারি। খেলার বাকি ছিল মাত্র চার মিনিট, তবু প্রটোকল মেনে প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য খেলা স্থগিত রাখা হয়। এতে চেলসির খেলোয়াড়রা খুশি না হলেও নিয়ম মানতেই হয়।

বিরতির পর শুরু হওয়া অতিরিক্ত সময়ে পুরো আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে চেলসি। ক্রিস্টোফার এনকুকু, পেদ্রো নেটো ও কিয়ের্নান ডিউসবারি-হল গোল করে চেলসির জয় সুনিশ্চিত করেন। বেনফিকার তখন ১০ জনের দল; সমতা ফেরানোর পর উদযাপনে হলুদ কার্ড দেখা ফরোয়ার্ড জিয়ানলুকা প্রেস্তিয়ান্নি অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই আবার ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন এবং মাঠ ছাড়েন।

চেলসির কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ ঠিক হয়েছে ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়ন পালমেইরাস। একই দিনে, লিংকন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ডে তারা ১-০ গোলে হারায় দেশীয় প্রতিপক্ষ বোতাফোগোকে।

অতিরিক্ত সময়ের ১০০তম মিনিটে পাউলিনহোর একক নৈপুণ্যে গোল পায় পালমেইরাস। ডান দিক থেকে ড্রিবল করে কাট-ইন করে বাম পায়ের শটে বল পাঠান জালের নিচের কোনায়। ম্যাচজুড়ে দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ছিল উত্তেজনা; মোট ৩৫টি শট নেওয়া হয় ম্যাচে।

শেষ মুহূর্তে প্রতিপক্ষের বিপজ্জনক কাউন্টার অ্যাটাক ঠেকাতে মাঝমাঠে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন পালমেইরাস ডিফেন্ডার গুস্তাভো গোমেজ, ফলে তিনিও মাঠ ছাড়েন।

৩৩ হাজারের বেশি দর্শকের গর্জনে ম্যাচে সৃষ্টি হয় একেবারে দক্ষিণ আমেরিকান আবহ। ম্যাচ শেষে পালমেইরাস ডিফেন্ডার ব্রুনো ফুকস বলেন, “কোচ শুরু থেকেই বলে আসছেন—স্বপ্ন দেখতে কোনো খরচ লাগে না। আমরা এক ম্যাচ করে এগোচ্ছি, ভবিষ্যতের চেয়ে বর্তমানেই মনোযোগ দিচ্ছি। এই স্বপ্ন যাত্রা ধরে রাখতে চাই। ”

এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।