এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শুরুটা চমকপ্রদ করে বাটলারের শিষ্যরা।
‘সি’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে মিয়ানমারও—তারা তুর্কমেনিস্তানকে ৮-০ গোলে হারিয়েছে। ফলে গ্রুপের শীর্ষস্থান নির্ধারণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার ম্যাচটিই এখন হয়ে উঠেছে মহাগুরুত্বপূর্ণ। কারণ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলই পাবে মূলপর্বে খেলার সুযোগ।
আগামীকাল মিয়ানমারের ইয়াংগুনে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। প্রতিপক্ষ র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকলেও ভয় পাচ্ছে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নারী দলের ফিফা র্যাঙ্কিং ১২৮, আর মিয়ানমারের অবস্থান ৫৫—৮৩ ধাপের পার্থক্য। তবুও আত্মবিশ্বাসী দলের টিম ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান লিটু, 'আলহামদুলিল্লাহ, প্রথম ম্যাচ আমরা খুব ভালোভাবে শেষ করেছি। মিয়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচটি কঠিন হবে, তবে আমি বিশ্বাস করি র্যাঙ্কিং কোনো ম্যাটার করে না। মেয়েরা যদি সেরাটা দেয়, জয় সম্ভব। '
প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছে পুরো দল। তাই দ্বিতীয় ম্যাচের আগে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখতে চাইছে না তারা। চলছে রিকভারি ও স্ট্রেচিং সেশন। সেই সঙ্গে মানসিকভাবেও প্রস্তুত হচ্ছে পুরো দল।
দলের অন্যতম ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, 'প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো ফল করেছি। এখন আমরা মিয়ানমারের বিপক্ষে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কোচের নির্দেশনা মতো আমরা সেরাটা দিতে চেষ্টা করব। '
প্রসঙ্গত, বাহরাইনের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় গোলটি করেন ঋতুপর্ণা। বক্সের কোনা থেকে দুর্দান্ত এক শটে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন তিনি। তবে এই গোলটি ছিল আবেগঘন—কারণ, সেই দিনই ছিল তার ছোট ভাইয়ের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।
পাঁচ বছর আগে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল এই দুই দলের—যেখানে মিয়ানমারের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। একই মাঠ, কিন্তু এবার বদলেছে বাস্তবতা। কোচ বাটলার বলেন, 'এ ধরনের শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতে চাই আমি। বাহরাইনকে আমরা হারিয়েছি, তবে মিয়ানমার হবে একেবারেই ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। ওরা টেকনিক্যালি খুব ভালো, সমর্থকদেরও পাশে পাবে। তবে আমরা প্রস্তুত। '
প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করেন তহুরা খাতুন। গোল পান শামসুন্নাহার জুনিয়র, কোহাতি কিসকু ও মুনকি আক্তারও। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান সফরে প্রত্যাশিত গোল না পাওয়ায় সমালোচিত হয়েছিল দল। তবে এবার বাটলারদের প্রত্যাশা—মিয়ানমারের বিপক্ষে সবাই জ্বলে উঠবেন।
এআর/এমএইচএম