ক্লাব বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ম্যানচেস্টার সিটির। শেষ ষোলোতেই তারা হেরে গেল সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলালের কাছে, এক অভাবনীয় ৪-৩ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে।
পেপ গার্দিওলার দল গ্রুপ পর্ব পেরিয়েছিল অনায়াসেই। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট মিলল না তাদের, মূলত এলোমেলো রক্ষণের জন্যই। ম্যাচে চারটি গোল হজম করেছে সিটি, যা তাদের মানের সঙ্গে একেবারেই বেমানান।
তবে শুরুটা ভালোই করেছিল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। টানা চতুর্থ ম্যাচে ১০ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় সিটি। বার্নার্দো সিলভা ক্লোজ রেঞ্জ থেকে গোল করেন। তবে আল-হিলালের খেলোয়াড়রা অভিযোগ তুলেছিলেন, গোলের আগে রায়ান এইত-নুরির হাতে বল লেগেছিল।
প্রথমার্ধে আরও কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল সিটি। সাভিনিও ও গুন্ডোয়ানকে কাছ থেকে গোল করতে দেননি আল-হিলালের মারোকান গোলকিপার বুনো। পরে তিনি দুর্দান্ত সেভ করেন ভার্দিওলের হেড ঠেকিয়ে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ম্যাচের গতি বদলে যায়। মাত্র ৪৪ সেকেন্ডের মাথায় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস লেওনার্দো হেড করে ম্যাচে সমতা ফেরান। ৫২ মিনিটে সাবেক বার্সা তারকা ম্যালকম দারুণ এক ড্রাইভে গোল করে আল-হিলালকে এগিয়ে নেন।
তবে সেই আনন্দ স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। তিন মিনিট পরই কর্নার থেকে গোল করে সমতা ফেরান আর্লিং হলান্ড। এরপর ম্যাচে টান টান উত্তেজনা। ৮৪ মিনিটে ম্যানুয়েল আকাঞ্জির হেড লাগে পোস্টে, হলান্ডের ফিরতি শট লাইন থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ক্লিয়ার করে দেন আল-হিলালের ডিফেন্ডার আলি লাজামি।
নির্ধারিত সময় শেষে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৪ মিনিটে হেড করে আল-হিলালকে এগিয়ে দেন সাবেক চেলসি ডিফেন্ডার কালিদু কুলিবালি। তবে ১০১ মিনিটে দারুণ অ্যাঙ্গেল থেকে ভলিতে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান সিটির বদলি তারকা ফিল ফোডেন।
কিন্তু শেষ হাসি হেসেছে আল-হিলালই। ১১২ মিনিটে আবারও জ্বলে ওঠেন মার্কোস লেওনার্দো। ব্যাকপোস্টে পাওয়া সুযোগটি দারুণ দক্ষতায় জালে জড়িয়ে দেন তিনি। আর এই গোলেই লেখা হয় ক্লাব বিশ্বকাপের এক স্মরণীয় অধ্যায়—ম্যানচেস্টার সিটির বিদায় ও আল-হিলালের ঐতিহাসিক জয়।
এমএইচএম