এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ার পর রোববার রাতে দেশে ফেরে দলটি।
সংবর্ধনার পরদিন আজ গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাফল্যের আনন্দ, প্রত্যাশার চাপ এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন দলের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তহুরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আসলে দেশের জন্য যখন ভালো কিছু করি, তখন নিজের কাছেও ভালো লাগে। আশপাশের মানুষদের ভালোবাসা ও প্রশংসা পাই, সেটা সত্যিই ভালো লাগে। খারাপ কিছু করলে ডুবানোর শেষ থাকে না, ভালো কিছু করলে ভাসানোরও শেষ থাকে না। এটা ভালোই লাগে। ’
দলের এই সাফল্যের পেছনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অবদান উল্লেখ করে তহুরা বলেন, ‘এই দলটা আজ যেখানে এসেছে, সেখানে পৌঁছাতে ফেডারেশনের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। আমরা যখন বয়সভিত্তিক দলে খেলতাম, তখনও এই একই দল ছিল। তখনই বলতাম, বড় হয়ে ভালো কিছু করব। আজ সেটারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। ’
দলের অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া কতটা ভালো, তা বোঝাতে তিনি উদাহরণ টানেন, ‘প্রতিটা খেলোয়াড়ের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। যেমন ঋতুর পায়ে বল থাকলে, আমি আর সামসুন্নাহার জানি আমাদের কোথায় যেতে হবে। ’
দুইবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর এবার এশিয়ান কাপে জায়গা পাওয়াকে আরও বড় অর্জন মনে করেন এই ফরোয়ার্ড, ‘মানুষ ধীরে ধীরে ওপরে ওঠে। টানা দুটি সাফ জেতা যেমন বড় কিছু, তেমনি এবার এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করাও বিশাল অর্জন। সবার প্রত্যাশা এখন অনেক বেড়ে গেছে। আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণে প্রস্তুত হবো। ’
বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তহুরা বলেন, ‘এখনই বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখা কঠিন। হুট করে এত ওপরে ওঠা যায় না। আমরা বাছাইয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এখন মূল পর্বে কাদের সঙ্গে খেলবো সেটা মাথায় রাখতে হবে। নিজেদের সেভাবেই তৈরি করতে হবে। ’
এআর/আরইউ