প্রতিবারের মতো এবারও এএফসি এশিয়ান কাপের ড্রয়ে কঠিন গ্রুপেই পড়েছে বাংলাদেশ নারী দল। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, শক্তিশালী উজবেকিস্তান ও রহস্যঘেরা উত্তর কোরিয়া।
এর আগেও র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দলের বিপক্ষে ড্র করে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন বাটলার।
তিনি বলেন, ‘গ্রুপটা যে কঠিন, সেটা আমি মানি। তবে এই ধরনের চ্যালেঞ্জই আমি উপভোগ করি। ১২ মাস আগে আমরা চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দারুণ খেলেছিলাম। এরপর ধীরে ধীরে দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে, উন্নত হয়েছি এবং এখন অনেক বেশি শক্তিশালী দল। ’
কোচের মতে, বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দলের অভিজ্ঞতা, আত্মবিশ্বাস এবং সামর্থ্য। তরুণ ও অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে গড়া এই দলটি ইতোমধ্যেই দেশকে এনে দিচ্ছে ধারাবাহিক সাফল্য।
‘১২ মাস আগের তুলনায় আমরা এখন ভালো দল। এমনকি ৬ মাস বা ৩ মাস আগের চেয়েও ভালো অবস্থানে আছি,’ বললেন বাটলার। তিনি আরও বলেন, ‘চীনের বিপক্ষে লড়াই সহজ হবে না, উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষেও কঠিন হবে। কিন্তু সবই সম্ভব। আমরা লড়াই করব, নিজেদের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেব। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো—মাঠে আমরা যেন একটা ভালো ছাপ রাখতে পারি। ’
বড় মঞ্চে ভালো করতে হলে চাই মানসম্মত প্রস্তুতি। সে লক্ষ্যে দেশের বাইরে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করতে চান বাটলার। তবে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে সেটি এখনো অনিশ্চিত।
বাটলারের ভাষায়, ‘আমার পরিকল্পনা আছে, কিন্তু সবকিছু নির্ভর করছে বাফুফের অর্থায়নের ওপর। আমি চাই সৌদি আরব বা অন্য কোথাও প্রস্তুতি নিতে যেতে, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। আমি কেবল অনুরোধ করতে পারি, সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ। ’
তবে বাটলার আশাবাদী। বলেন, ‘আমি পরিকল্পনা ও কৌশল ঠিক করি। তারপর দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্টদের, যারা এই পরিকল্পনার জন্য অর্থের ব্যবস্থা করবে। আশা করছি কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ অন্তত খেলতে পারব। ’
এআর/এমএইচএম