সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের আনন্দ পেছনে ফেলে এবার নতুন লক্ষ্য নিয়ে লাওস গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিতে চায় লাল-সবুজের তরুণীরা।
আগামীকাল (৫ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে এইচ-গ্রুপের লড়াই, যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক লাওস, শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া এবং তিমুর লেস্তে। কঠিন প্রতিপক্ষদের মাঝে পা ফেললেও আত্মবিশ্বাসে কোনো ঘাটতি নেই আফঈদা খন্দকারদের দলে।
দলে রয়েছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রাও—আফঈদা, সাগরিকা ও স্বপ্না রানীসহ অন্তত ৯ জন খেলেছেন এএফসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্ব নিশ্চিত করা ঐতিহাসিক মিয়ানমার মিশনে। এবার সেই অভিজ্ঞতাই পাথেয় করে এগিয়ে যেতে চায় অনূর্ধ্ব-২০ দল।
দলের কোচ পিটার বাটলার পুরো বাছাইপর্বকে শুধুই একটি যোগ্যতা অর্জনের লড়াই হিসেবে দেখছেন না। বরং তিনি এটিকে মূলপর্বের প্রস্তুতি হিসেবেই নিচ্ছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে গোলকিপিং কোচ মাসুদ আহমেদ বলেন, “প্রথম ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জয় দিয়ে শুরু করতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং বাকি ম্যাচগুলোর জন্য দল মানসিকভাবে আরও প্রস্তুত থাকবে। ”
দলের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখছেন না কোচ ও খেলোয়াড়রা। আক্রমণ ও রক্ষণভাগ নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের রুখে দেওয়া, পজিশনিং, দ্রুত কাউন্টার—সবকিছুতেই লক্ষ্য রেখে চলেছে বাফুফে পাঠানো এই স্কোয়াড।
অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার বলেন, “নতুন দেশ, নতুন অভিজ্ঞতা—সবার মন ভালো আছে। আমরা কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলব এবং জয় ছিনিয়ে আনতে চাই। ”
প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের মুখোমুখি স্বাগতিক লাওস। ইতিহাস বলছে, লাওসের বিপক্ষে এখনো কোনো ম্যাচ হারেনি বাংলাদেশ। আগের তিন সাক্ষাতে অপরাজিত লাল-সবুজ। সেই রেকর্ড ধরে রেখে এবারের মিশন শুরু করতে চায় দলটি।
পর্বে পর্বে টার্গেট ছুঁয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দলের মূল লক্ষ্য এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেওয়া। আর সেই বড় মঞ্চে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইছে আফঈদারা।
এমএইচএম