ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ সফর ১৪৪৭

ফুটবল

নারী ফুটবলের ঐতিহাসিক অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে নিয়ে ফিফার বিশেষ পোস্ট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪৪, আগস্ট ৭, ২০২৫
নারী ফুটবলের ঐতিহাসিক অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে নিয়ে ফিফার বিশেষ পোস্ট ছবি: ফিফা

নারী ফুটবলে অভাবনীয় উন্নতির সাক্ষী বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ধারাবাহিক সাফল্যের পর এবার জাতীয় দলও ছুঁয়ে ফেলেছে ইতিহাস।

প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল, যেখান থেকে ভালো করলে মিলতে পারে নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ। র‍্যাংকিংয়েও এসেছে ২৪ ধাপে এগোনোর মত বড়সড় উন্নতি। আর এই অসাধারণ অগ্রযাত্রাকে স্বীকৃতি দিতে বাংলাদেশের নারী ফুটবল নিয়ে বিশেষ পোস্ট করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

আজ (বৃহস্পতিবার) ফিফার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছে সংস্থাটি। সেখানে ছয়টি ফটোকার্ডের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক সাফল্য, অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা।

ফিফার পোস্টে শুরুতেই বলা হয়েছে, “১০০-এর কাছাকাছি”। অর্থাৎ র‍্যাংকিংয়ে ১০৪ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ নারী দল যা দেশের ফুটবলের ইতিহাসে এক মাইলফলক। উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের আগস্টে যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪২তম, সেখান থেকে মাত্র এক বছরে বিশাল লাফে উঠে এসেছে ১০৪ নম্বরে। যা বর্তমানে নারী র‍্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।

আরেক ফটোকার্ডে বাংলাদেশের বাছাইপর্বের অবিশ্বাস্য সাফল্যের কথা তুলে ধরে ফিফা জানায়, এতদিন বাংলাদেশ কখনো এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি। অথচ এবার ২০২৫ সালের এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে অপরাজিত থেকে ইতিহাস গড়েছে সাবিনা-কৃষ্ণারা। এখন মূল আসরে শীর্ষ ছয়ে জায়গা করে নিতে পারলে দেশের সামনে খুলে যাবে ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নের দরজা।

তবে শুধু মাঠের সাফল্য নয়, এই অর্জনের পেছনের পরিকল্পনাও তুলে ধরেছে ফিফা। একটি ফটোকার্ডে উল্লেখ করা হয়, নারী ফুটবলের জন্য গৃহীত বাংলাদেশের প্রথম কৌশলগত পরিকল্পনা ‘এম্পাওয়ার হার: ২০২৪-২০২৭’ এবং ফিফার উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর সহযোগিতাই দ্রুত এই অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি।

এছাড়া সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথাও স্মরণ করেছে ফিফা। জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ার এই টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতির দিক থেকেও এসেছে বড় পরিবর্তন। ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের সহায়তায় আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট নারী ফুটবলের জন্য বড় অবদান রেখেছে।

সবশেষে উঠে আসে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের মন্তব্য। তিনি বলেন, “ফিফা নারী ফুটবলের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় বাংলাদেশে এর প্রতি সচেতনতা বেড়েছে। দিন দিন বাড়ছে দর্শক-ভক্তসংখ্যা, যা আমাদের নারী ফুটবলকে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখছে। ”

বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে নতুন করে অনুপ্রেরণা জোগাবে নারী ফুটবলারদের। সামনে যে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় স্বপ্ন বিশ্বকাপ মঞ্চে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানোর সম্ভাবনা।

এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ফুটবল এর সর্বশেষ