লা লিগায় জয় দিয়ে এগোনোর সুযোগ হাতছাড়া করল বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত রায়ো ভাইয়েকানোর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমার্ধে লামিনে ইয়ামালের পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ইসি পালাসনের কর্নার থেকে ফ্রান পেরেসের শটে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। ম্যাচজুড়ে আক্রমণে আধিপত্য বিস্তার করলেও সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারায় জয়ের ধারায় থাকতে পারেনি কাতালানরা।
বার্সেলোনা বল দখলে রাখে ৫৬ শতাংশ সময়, গোলের উদ্দেশে নেয় ১২ শট; যার মধ্যে মাত্র তিনটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে রায়ো ভাইয়েকানো শট নেয় ১৩টি, এর মধ্যে ৭টি ছিল লক্ষ্যে। গোলরক্ষক গার্সিয়া ছিলেন বার্সেলোনার আস্থার প্রতীক। পুরো ম্যাচে ছয়টি সেভ করে জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই সুযোগ তৈরি করেছিল বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার আড়াআড়ি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোল থেকে বঞ্চিত হন ফেররান তোরেস। এরপর ২৬ মিনিটে দানি ওলমোর শট ঠেকান ভাইয়েকানো গোলরক্ষক। অল্পের জন্য গোল হাতছাড়া করেন তোরেসও।
৪০তম মিনিটে ইয়ামালের স্পটকিক থেকে গোল এনে দেয় সফরকারীদের। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ পেয়েছিলেন ওলমো, কিন্তু তার শট লক্ষ্যে ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে বার্সেলোনা। ৬৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে রায়ো। কর্নার থেকে ফ্রান পেরেসের শট পোস্টে লেগে ঢুকে যায় জালে। নতুন ক্লাবে এটিই ছিল ভালেন্সিয়া থেকে আসা তরুণ ফরোয়ার্ডের প্রথম গোল।
শেষ মুহূর্তে একাধিক সুযোগ পেয়েও গোলরক্ষক গার্সিয়ার দুর্দান্ত সেভে এগোতে পারেনি ভাইয়েকানো। অন্যদিকে যোগ করা সময়ে ইয়ামালের শট প্রতিহত হয়। ফলে শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলেই শেষ হয় ম্যাচটি।
তিন ম্যাচ শেষে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে বার্সেলোনা। শীর্ষ দুইয়ে টানা তিন জয়ে রেয়াল মাদ্রিদ ও আথলেতিক বিলবাও।
আরইউ