সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৭ ম্যাচে ৩৮ বার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন মেসি। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১৩টি।
মেসির ধারেকাছেও কেউ নেই। ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর বাকি দু’জনও নন। উরুগুইয়ান ‘গোলমেশিন’ লুইস সুয়ারেজ ৩৭ ম্যাচে গোল করেছেন ২৭টি। অ্যাসিস্ট ১২। ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন ১২ বার জালের দেখা পান। গোলে সহায়তা করেছেন ১৬টিতে। ক্লাবের গোলস্কোরে দু’জনের অংশগ্রহণ যথাক্রমে ৩২% ও ২৩%।
এমনকি, এ মৌসুমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসির চেয়ে বেশ পিছিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদ সুপারস্টার ২৫ বার গোল উদযাপন করেন। অ্যাসিস্ট আটটি। অবশ্য ছয় ম্যাচ কম খেলেছেন সিআর সেভেন। টিমের গোলসংখ্যায় তার অবদান ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে, অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ তারকা অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান ২০টি গোলের পাশাপাশি ১০টি অ্যাসিস্ট করেছেন।
গোল গড়ে ২৯ বছর বয়সী মেসির সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে পিএসজির উরুগুইয়ান তারকা এডিনসন কাভানি। ৩৩ ম্যাচে ৩৪ বার সতীর্থদের উদযাপনের মধ্যমনি হয়েছেন। প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের জার্সিতে ২০টি গোল ও ১২টি অ্যাসিস্টের মালিক আলেক্সিস সানচেজ। ইতালিতে রোমার এডিন জেকোর নামের পাশে ২৭টি গোল ও তিনটি অ্যাসিস্ট।
ঘরোয়া লিগে ‘পিচিচি’ অ্যাওয়ার্ডের (সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের পুরস্কার) দৌড়ে এগিয়ে মেসি। ২৩ ম্যাচে সমান ২৩টি গোল করেছেন। তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন সতীর্থ সুয়ারেজ (২০)। চ্যাম্পিয়নস লিগের টপ স্কোরারও মেসি (১০)। দ্বিতীয় স্থানে ৭টি গোল করা কাভানি।
মেসির সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কাভানির পিএসজি বাধা অতিক্রম করা। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হলে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের হারাতে হবে ৫-০ ব্যবধানে। অসম্ভবই বলা চলে! প্যারিসে অনুষ্ঠিত শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ৪-০ গোলে হারের লজ্জায় ডোবে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ন্যু ক্যাম্পে ফিরতি পর্বের হাইভোল্টেজ ম্যাচ আগামী ৮ মার্চ (বুধবার) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ২টায়।
হোম ভেন্যুতে প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই সেরে নিয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। সবশেষ দু’টি লিগ ম্যাচে প্রতিপক্ষের (সেল্টা ভিগো ও স্পোটিং গিজন) জালে ১১ বার বল জড়িয়েছেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, ৬ মার্চ, ২০১৭
এমআরএম