আগামী ১৪ মার্চ গ্রুপ ‘ই’তে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে এএফসি কাপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী।
আবাহনীর গ্রুপের অপর দলগুলো হলো ভারতের মোহনবাগান, জেএসডব্লিউ বেঙ্গালুরু এফসি।
বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) আবাহনী ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ঢাকা আবাহনীর পরিচালক হারুনুর রশীদ, কাজী ইনাম আহমেদ, ম্যানেজার সত্যজিত দাস রূপু, কর্মকর্তা শাহ আলম চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবাহনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের লিগ শিরোপা প্রাপ্তির স্বীকৃতি স্বরূপ এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) এশিয়ার প্রত্যেক দেশের প্রত্যেক বছরের লিগ শিরোপাধারীদের সমন্বয়ে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। ‘আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ প্রতিযোগিতা’ আয়োজন করে থাকে। এবারের ‘এএফসি কাপ ২০১৭’ সেই চলমান ধারার সংযোজিত আর একটি মাত্রা। এবারের প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্বে এশিয়ার ৩৬টি শিরোপাধারী দলকে ৪টি দলের সমন্বয়ে ৯টি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে। দলগুলোকে ৫টি অঞ্চলে (জোন) ভাগ করা হয়েছে (পশ্চিম, মধ্যম, দক্ষিন, পূর্ব ও এশিয়ান)। ’
আরও জানানো হয়, পশ্চিম ও এশিয়ান অঞ্চলের মধ্যে ৬টি গ্রুপ সহ মধ্যম, দক্ষিন ও পূর্ব অঞ্চলে ১ টি করে ৩টি নিয়ে মোট ৯ টি গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়েছে। দক্ষিন অঞ্চলের (জোনের) “ই” গ্রুপে আবাহনী অন্তর্ভূক্ত হয়। ‘ই’ গ্রুপের মধ্যে যে সকল দেশের শিরোপাধারী ক্লাব অন্তর্ভূক্ত হয়েছে তারা হচ্ছে ভারতের জেএসডব্লিউ বেঙ্গালুরু ও মোহনবাগান, মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস এন্ড আরসি ও বাংলাদেশের আবাহনী।
এএফসি’র উপবিধি অনুযায়ী ‘লিগ ভিত্তিতে’ প্রত্যেক গ্রুপের সকল খেলা পর্যায়ক্রমিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক দল হোম এবং অ্যাওয়ে ভিত্তিতে একে অপরের সাথে দুইবার করে খেলবে। গ্রুপের প্রত্যেক দলকে মোট ০৬ টি খেলায় অংশগ্রহণ করতে হবে। বিজয়ী ও বিজিত দল যথাক্রমে ৩ ও ০ পয়েন্ট পাবে এবং অমিমাংসিত খেলায় উভয় দলই ১টি করে পয়েন্ট প্রাপ্ত হবে। সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দল ‘গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার গৌরব অর্জন করবে। একাধিক দল সমান সংখ্যক পয়েন্ট অর্জন করলে সেক্ষেত্রে খেলার উপবিধি অনুযায়ী দলের অবস্থান অনুক্রম নির্ধারন করা হবে। দক্ষিন এশিয়া গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। সেখানে ‘নক-আউট’ ভিত্তিতে সকল খেলাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে।
আবাহনীকে ৬টি খেলায় অংশগ্রহণ করতে হবে যার মধ্যে ৩টি হোম আর অবশিষ্ট ৩টি অ্যাওয়ে ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪ মার্চ: আবাহনী বনাম মাজিয়া স্পোর্টস এন্ড আরসি (মালদ্বীপ), সন্ধ্যা ৬.১০ মিনিট, বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়াম
০৪ এপ্রিল: আবাহনী বনাম মোহনবাগান (ভারত), সন্ধ্যা ৭.০০ টা, রবীন্দ্র সরোবর ষ্টেডিয়াম, কলকাতা
১৮ এপ্রিল: আবাহনী বনাম জেএসডব্লিউ বেঙ্গালুরু (ভারত), সন্ধ্যা ৭.০০ টা, কান্তিরাভা স্টেডিয়াম, বেঙ্গালুরু
০৩ মে: আবাহনী বনাম জেএসডব্লিউ বেঙ্গালুরু (ভারত), সন্ধ্যা ৬.১০ মি, বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়াম, ঢাকা
১৭ মে: আবাহনী বনাম মাজিয়া স্পোর্টস এন্ড আরসি (মালদ্বীপ), বিকাল ৪.০০ টা, ন্যাশনাল ষ্টেডিয়াম, মালে
৩১ মে: আবাহনী বনাম মোহনবাগান (ভারত), সন্ধ্যা ৭.৪৫ মি, বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়াম, ঢাকা
আবাহনীর পক্ষ থেকে আরও যোগ করা হয়, ‘দলীয় শক্তির কোনো ঘাটতি নেই। জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড় সাধ্য অনুযায়ী খেলতে সক্ষম হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। জয় লাভের জন্য আমরা সকলের দোয়া প্রার্থী। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ০৯ মার্চ ২০১৭
এমআরপি