সেটাই হলো। প্রথম থেকে দুই দলের মধ্যে আক্রমণাত্মক ভাব লক্ষ্য করা গেল।
ম্যাচের ঠিক ১৩ মিনিট। হাইভোল্টেজ ম্যাচের রং তখন রূপ নিল হট্টগোলে। এমেকাকে ফাউল করলে দুই দলের মধ্যে শুরু হয় বাক-বিতণ্ডা। এক পর্যায়ে আবাহনীর অধিনায়ক মামুন মিয়া ও সাইফের তপু বর্মনের মধ্যে বুটের লড়াই চললো। একে অপরকে বুটের পেছন সাইড দিয়ে গুতোগুতি শুরু করলে পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। রেফারি মিজানুর রহমান এসে মামুন ও তপুকে দুটি লাল কার্ড ধরিয়ে দিলে ম্যাচ হয় যায় ২০ জনের।
লাল কার্ডে দুই দল দশজনের দলে পরিণত হয়। উত্তেজনার রেশ ম্যাচে অব্যাহত থাকে। এভাবেই প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হতে পারত। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে থ্রো পায় আবাহনী। রায়হানের লম্বা থ্রোতে শুধু এমেকার মাথায় আলতো টোকায় বল দেখতে দেখতে জালে জড়ালো। এগিয়ে যায় আবাহনী (১-০)।
দ্বিতীয়ার্ধে এসেই লাগাতার আক্রমণ করতে থাকে সাইফ স্পোর্টিং। গোলের সমতা ফেরাতে উঠে পড়ে লাগে নবাগত দলটি। গোল ফিনিশিংয়ের অভাবে কিছু সুযোগ নষ্ট হলেও দ্বিতীয়ার্ধের ২৪ মিনিটে গোল পায় সাইফ স্পোর্টিং। জুয়েল রানার পাসে ব্যাক হিল করে ম্যাচে সমতায় ফেরায় ইব্রাহিম (১-১)।
এরপরে আর কোনো গোল হয়নি। ১-১ গোলে ফেডারেশন কাপের ড্র ম্যাচ শেষ হয়েছে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে ২ পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরেছে আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিং।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ১৩ মে ২০১৭
জেএইচ/এমআরপি