প্রিয় ক্লাবের জার্সিতে শেষ ম্যাচটিতে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামেন টট্টি। জেনোয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয়ে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগের পরবর্তী আসরে উত্তীর্ণ হয় রোমা।
পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ারের এখনই শেষ দেখছেন না টট্টি। বুটজোড়া তুলে না রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন ২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ী। পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার থেকে অবসর নিতে এখনো প্রস্তুত নন বলেই জানিয়েছেন, ‘আমরা এখানে, মুহূর্তটি চলে এসেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যে মুহূর্তটি এসেছে আমি আশা করেছিলাম তা আসবে না। ’
‘গত কিছুদিন ধরে আমাকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, যেটি চমৎকার ব্যাপার। তোমরা আমার পাশে ছিলে, কঠিন সময়ে অনুপ্রেরণা দিয়েছো এবং একারণেই আমি বলতে চাই তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ। ’
বিদায়ী ম্যাচ শেষে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে টট্টি আরও বলেন, ‘আমি নিজের ওপর কেঁদেছি, অনেকটা পাগলের মতো! তোমরা এভাবে ২৫ বছরের কথা ভুলতে পারবে না। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এমনকি যদিও এটা আমার কাছে সহজ নয় (রোমাকে বিদায় প্রসঙ্গে)। বছরগুলো কেমন ছিল তা আমার স্ত্রী বলেছি। ’
‘আমি আমার মা, বাবা, ভাই, পরিবার ও বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই। আমার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ধন্যবাদ। আমি এখান থেকেই শুরু করতে চাই, কারন আমি নিশ্চিত নই বিদায় মেনে নিতে পারবো কি না। ’-যোগ করেন টট্টি।
১৯৯৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে রোমার মূল টিমে অভিষেক ঘটে টট্টির। সময়ের পরিক্রমায় নিজেকে নিয়ে যান কিংবদন্তিদের কাতারে। ক্লাব ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার ও সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার পরিসংখ্যানে সবার উপরে টট্টি।
সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৭৮৬ ম্যাচ খেলেছেন টট্টি। প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন ৩০৭ বার (৬১৯ লিগ ম্যাচে ২৫০)। দীর্ঘ ২৫ মৌসুমের রোমা ক্যারিয়ারে একটি সিরি আ (ইতালিয়ান লিগ), দু’টি ইতালিয়ান কাপ ও দু’টি ইতালিয়ান সুপার কাপ জিতেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, ২৯ মে, ২০১৭
এমআরএম