কর ফাঁকি মামলার শুনানিতে আদালতে হাজির হন রোনালদো। ৯০ মিনিট তিনি ছিলেন আদালতে।
দুপুর দেড়টা নাগাদ রোনালদোর লিখিত বিবৃতি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন তার আইনজীবী। তারকা এ ফুটবলার দাবি করেন, ‘আমি কখনও আয় গোপন করিনি। আয়কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টাও করিনি। আয়ের সমস্ত তথ্য আদালতে জমা দিয়েছি। আমি মনে করি, আয়কর দেওয়া কর্তব্য। ’
এদিকে রোনালদোর বিরুদ্ধে ‘ইমেজ রাইটস’ থেকে প্রাপ্য ১৪.৭ মিলিয়ন ইউরো ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে রিয়াল ছাড়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। তবে সেরা তারকাকে ধরে রাখতে অবশ্য সফল হন রিয়াল কর্তারা। স্পেনের আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, ২০১০ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়ালে সই করার সময় নিজেই একটি সংস্থা তৈরি করেছিলেন যার মাধ্যমে এই আর্থিক লেনদেন হয়েছিল।
সি আর সেভেনের মতে, ‘২০০৪ সালে ম্যানচেস্টারে এই সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল এবং তা ইংল্যান্ডের ট্রেজারি দফতরের নথিভুক্ত। তা ছাড়া সেই সময় আমি রিয়ালে খেলার কথাও ভাবিনি। সমস্ত কিছুই আইন মেনে হয়েছে। আমার বিশ্বাস সুবিচারই পাব। ’
তবে এ প্রসঙ্গে তিনি যে আর কোনও মন্তব্য করবেন না সেটাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন। রোনালদো বলেন, ‘অকারণে আমার ওপর চাপ বাড়ছে। তাই ঠিক করেছি, এই প্রসঙ্গে আর কোনও মন্তব্য করব না’।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, ০১ আগস্ট, ২০১৭
এমএমএস