রিয়াল মাদ্রিদে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না মার্সেলোর। বন্ধু ও রিয়ালের একসময়ের প্রাণভোমরা রোনালদো বিদায় নেওয়ার পর থেকে রিয়ালের যেমন ছন্নছাড়া অবস্থা, তার নিজের অবস্থাও তথৈবচ।
মার্সেলোর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে আরও একটা কারণ আছে। লস ব্ল্যাঙ্কোসদের সঙ্গে ১৩তম মৌসুম কাটাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এত বিশাল অভিজ্ঞতা নিয়েও ভারপ্রাপ্ত কোচ সান্তিয়াগো সোলারির একাদশে নিয়মিত হতে পারছেন না তিনি। তার চেয়ে বরং তরুণ ডিফেন্ডার সার্জিও রিগুইলনকেই বেশি পছন্দ রিয়াল কোচের। এহেন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার বাঁচাতেই রিয়াল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে মার্সেলোকে।
অনেকদিন থেকেই জুভেন্টাসের সঙ্গে সখ্য রেখে চলছেন মার্সেলো। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন অবশ্য পর্তুগিজ তারকা রোনালদোই। জুভেন্টাসে পাড়ি দিয়েই তিনি মার্সেলোকে তার সঙ্গে যোগ দিতে বলেছিলেন। এতদিন এ নিয়ে চুপ থাকলেও রিয়ালের অবস্থা আর নিজের ফর্ম মিলিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এটাই সেরা সময় বলেই মনে হয়েছে এই ডিফেন্ডারের।
ইতালিয়ান দৈনিক লা স্টাম্পা জানিয়েছে, এরইমধ্যে জুভেন্টাসের সঙ্গে চার বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে সম্মতি জানিয়েছেন মার্সেলো। এর বিনিময়ে প্রতি মৌসুমে ১২ মিলিয়ন করে দেবে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। এর ফলে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে যার সঙ্গে ৯ বছর কাটিয়েছেন সেই প্রিয় সতীর্থ ও বন্ধু রোনালদোর সঙ্গে পুনর্মিলিত হচ্ছেন তিনি।
এর আগে রিয়াল ছাড়ার কথা সবার আগে এই মার্সেলোকেই জানিয়েছিলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী রোনালদো। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়ে শিরোপা জেতার পর রোনালদো বিদায় নেন। এরপর এক সাক্ষাৎকারে মার্সেলো বলেন, ফাইনালের আগে আমরা একসঙ্গে অনুশীলন করছিলাম। হুট করেই সে আমাকে বলে “আমি চলে যাচ্ছি”।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রিয়ালের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন মার্সেলো। এই চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২২ সাল পর্যন্ত। কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুতই পাল্টে যায়। মাঠে তাকে কম সময় খেলানো নিয়ে ক্রমেই তার মনে ক্ষোভ জমতে থাকে। গত ফেব্রুয়ারিতেই তিনি ক্লাবের পরিচালক হোশে আনহেল সানচেজকে এ নিয়ে অভিযোগ জানান এবং ক্লাব ছাড়ার কথাও বলে দেন। এবার সেটাই সত্যি হতে চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমএইচএম