ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

বার্সায় ফেরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, পিএসজি যেতে দেয়নি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
বার্সায় ফেরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, পিএসজি যেতে দেয়নি নেইমার জুনিয়র-ছবি: সংগৃহীত

ঠিক ১২৬ দিন পর পিএসজির জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন নেইমার জুনিয়র। আর ফিরেই দলের জয়সূচক একমাত্র গোলটি এলো তার পা থেকেই। এক কথায় রাজকীয় ফেরা যাকে বলে। কিন্তু এমন স্মরণীয় রাতেও নিজের কষ্ট চেপে রাখেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। বরং মিডিয়ার সামনে উগরে দিলেন সব ক্ষোভ।

চলতি মৌসুম শুরুর আগেই পিএসজি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন নেইমার। সাবেক ক্লাব বার্সায় ফিরতে অনেকটা মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি।

কিন্তু দুই ক্লাব বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসলেও কিছুতেই কিছু হয়নি। শেষ পর্যন্ত এমনকি নিজের পকেট থেকেও ২০ মিলিয়ন ইউরো দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার সব প্রচেষ্টা বিফলে গেছে। আর এজন্য পিএসজিকেই দায়ী করলেন নেইমার।

শনিবার স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেইমারকে মাঠে নামান কোচ টমাস টুখেল। এই মৌসুমে দলের চার ম্যাচ পর মাঠে নামলেন। কিন্তু তাকে মাঠে নামতে দেখেই গালাগালিতে ব্যস্ত থাকা দর্শকরা নিজেদের দুয়োর পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয়। অনেকে ব্যানারে প্রকাশের অযোগ্য ভাষায় গালাগালি লিখে এনেছিলেন। কিন্তু টলে যাননি নেইমার। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে দারুণ এক বাইসাইকেল কিকে জাল খুঁজে নেন। দলও মাঠ ছাড়ে ১-০ গোলে।

ম্যাচ জিতিয়েও মলিন হাসি দিয়ে নেইমার বলেন, ‘সবাই জানে আমি চলে যেতে চেয়েছিলাম। আমি এটা স্পষ্ট করেই বলেছি। আমি অবশ্য বিষয়টা নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না, কারণ অনেকে আবার তাতে আঘাত পেতে পারেন। ’

তবে এরপর নিজেকে সামলে নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই ফুটবলার বলেন, ‘আমি এখনও পিএসজির খেলোয়াড় এবং আমার লক্ষ্য মাঠে খুশি থাকা। আমার মন এখন পিএসজিতেই আছে। আমি সবসময় বলি যে, আমি পিএসজি কিংবা এর সমর্থকদের বিপক্ষে নই। ’ 

ওসব (দলবদল) ছিল ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার নিজস্ব কারণ ছিল এবং আমি এটা বাস্তবায়ন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তারা (পিএসজি) আমাকে যেতে দেয়নি। এটা এরইমধ্যে ঘটে গেছে, কিন্তু এটা নিয়ে আর কোনো কথা আমি বলব না। আমি এখন পিএসজি নিয়েই ভাবছি। ’

তাকে ঘিরে পিএসজি সমর্থকদের যে নেতিবাচক উন্মাদনা তা নিয়েও বেশ হতাশা প্রকাশ করেন নেইমার, ‘এটা দুঃখজনক। কিন্তু আমি জানি আমি যখনই নিজের ঘরে (ক্লাবের নিজস্ব মাঠ) খেলতে নামবো এটা আমার জন্য অ্যাওয়ে ম্যাচের মতোই হবে।

‘সমর্থকদের উচিৎ ৯০ মিনিটে ধরেই উৎসাহ দেওয়া। খেলোয়াড়দের উদ্দেশে দুয়ো দেওয়ার চেয়ে এটাই বেশি জরুরি। যে মুখগুলো আপনাকে দুয়ো দিচ্ছে সেই তারাই কিন্তু আপনার গোলে উল্লাস করবে। তারা পুরো ম্যাচেই দুয়ো দিল এবং এরপর তাদেরই আবার উৎসব করতে হলো। ’

যারা তার উদ্দেশে দুয়ো দিয়েছে, শেষ দুই বাক্যে নেইমার কি তাদের হালকা খোঁচা দিলেন? দিতেই পারেন, প্রত্যাবর্তনেই গোল করে দল জেতানো তো চাট্টিখানি কথা না, তাও কিনা যখন নিজ দলের সমর্থকরাই পুরো সময় গালাগাল দিতে থাকে। আসল জবাব অবশ্য মাঠেই দিয়েছিলেন। এবার বাকিটা মুখেই দিয়ে দিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।