নারীঘটিত কেলেঙ্কারিতে ওয়েলসের কোচের চাকরিটা হারালেন রায়ান গিগস। ইউরো-২০২০ এর বাছাইয়ে তার অধীনে কোয়ালিফাই করেছে ওয়েলস।
২০১৯ সালের নভেম্বরে এই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ওয়েলস ম্যানেজার। পরে জামিনে ছাড়া পান। কিন্তু শুক্রবার গিগসের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পরই ওয়েলস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নিশ্চিত করেছে, সহকারী কোচ রবার্ট পেজ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দলকে কোচিং করাবেন।
গিগসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৯ সালের নভেম্বরে স্যালফোর্ডে এক নারীকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছিলেন তিনি। সেই নারীর বয়স ৩০-এর আশপাশে। এ ছাড়াও ২০ বছর বয়সী এক যুবতীকেও আক্রমণ করেছিলেন গিগস। ম্যানচেস্টার পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়েলসের একটি জায়গায় ৩০ বছর বয়সী এক নারীকে ছোটখাটো আঘাতের জন্য চিকিৎসা করাতে দেখা গিয়েছে।
২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে জবরদস্তিমূলক আচরণের জন্যও অভিযুক্ত হয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইডেটের এই কিংবদন্তি। ২৮ এপ্রিল শুনানির জন্য ম্যানচেস্টার ও স্যালফোর্ডের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে হবে ৪৭ বছর বয়সী গিগসকে। ‘দ্য ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস’- এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই মহিলাকে আঘাত করার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
অবশ্য শুরু থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন গিগস। অভিযুক্ত হওয়ার পরও বিবৃতি দিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি। গিগস বলেন, 'আইনের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। অভিযোগগুলোর গুরুত্বও বুঝতে পারছি। আদালতেও আমি নিজেকে নির্দোষ দাবি করব'।
রায়ান গিগস ১৯৯১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ওয়েলসের হয়ে ৬৪টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় দলের কোচিংয়ের দায়িত্ব নেন তিনি। তার হাত ধরেই ২০২০-ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বের বাধা অতিক্রম করেছে ওয়েলস। তবে প্রতিযোগিতাটির মূলপর্বে কোচ হিসেবে দেখা যাবে না তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২১
এমএমএস