২০১৯ সালে সবাইকে চমকে দিয়ে চেলসি থেকে ইডেন হ্যাজার্ডকে কিনে আনে রিয়াল মাদ্রিদ। খরচ করে ১৬০ মিলিয়ন ইউরো।
চেলসির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, তিন ধাপে ট্রান্সফার ফি’র অর্থ শোধ করে রিয়াল- ২০১৯ সালে ৪০ মিলিয়ন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৬ মিলিয়ন এবং শেষ ধাপে ৬৪ মিলিয়ন ইউরো। এই অর্থ কাজে লাগিয়ে চেলসি এমন এক দল বানিয়েছে, যারা কি না দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে সেই রিয়ালকেই চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় করে দিয়েছে।
প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্টরা গত মৌসুমে ৮০ মিলিয়ন ইউরোয় মিডফিল্ডার কাই হাভার্টজ, ৫৩ মিলিয়ন ইউরোয় ফরোয়ার্ড টিমো ভের্নার এবং ২৫ মিলিয়ন ইউরোয় গোলরক্ষক এদুয়ার্দ মেন্দিকে কিনেছে। এই তিন খেলোয়াড়ই এবার রিয়ালকে বিদায় করে দেওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই তিন খেলোয়াড়ের সম্মিলিত ট্রান্সফার ফি হ্যাজার্ডের চেয়ে ৩ মিলিয়ন ইউরো কম।
স্পেনের রাজধানীতে পা রাখার পর থেকেই ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন হ্যাজার্ড। খেলেছেন মাত্র ৪০ ম্যাচ, মিস করেছেন ৬৬ ম্যাচ। আর ৪০ ম্যাচে তিনি গোল করেছেন মাত্র ৪টি, অ্যাসিস্ট ৭টি।
রিয়ালের জন্য সবচেয়ে হতাশার বিষয় হচ্ছে, ২০২০ সালের গ্রীষ্মেই বিনা ট্রান্সফার ফি’তেই হ্যাজার্ডকে নিতে পারতো লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। ফলে বেঁচে যাওয়া অর্থ দিয়ে স্কোয়াডে আরও ভালো মানের খেলোয়াড় কেনা যেতো। তবে এটাও সত্য, হ্যাজার্ড চেলসিতে দুর্দান্ত ফর্মেই ছিলেন।
শুধু কি তাই, রিয়ালের সমর্থকদের মনেও হ্যাজার্ডকে নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছেই। বিশেষ করে চেলসির কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ের পর ব্লুজদের কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে মাঠেই ঠাট্টা-মশকরা করতে দেখে সেই ক্ষোভ আরও বেড়ে গেছে।
সমর্থকদের বিশ্বাস, হ্যাজার্ড চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলেননি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও রাউল গঞ্জালেসের মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়রা যে জার্সি পরে খেলতেন সেই ৭ নম্বর জার্সির অবমূল্যায়নও করে চলেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২১
এমএইচএম