কলকাতা: অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ চার জেলা থেকে ২০ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। এরমধ্যে শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের এক সাবেক গোয়েন্দা সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) রাজ্য পুলিশের তথ্য মতে, এদিন সকালে উত্তর ২৪ পরগনার চ্যাংড়া বটতলা এলাকা টহলদারি করার সময় ১১ জনকে আটক করে বাগদা থানার পুলিশ। এদের মধ্যে রয়েছে তিনজন নারী, দুইজন পুরুষ এবং ছয়জন শিশু রয়েছে। এ সময় আটক করা হয় তিন ভারতীয় দালালকেও।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, সবাই গত কয়েক বছর ধরে গুজরাটে কাজ করতেন। সবাই দেশ আসার জন্য বাগদায় এসেছিলেন। কারো কাছ থেকে বৈধ নথি পাওয়া যায়নি। পরে ভারতীয় দালালসহ বাংলাদেশিদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়।
অপরদিকে, নদিয়া জেলার ধানতলা থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাত বাংলাদেশিকে আটক করে। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ, তিনজন নারী রয়েছেন।
পুলিশের তথ্য মতে, শুক্রবার রাতে ধানতলা থানার অন্তর্গত দত্তপুলিয়া এলাকায় তারা সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল। স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে, তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, তারা কয়েক মাস আগে দালালের সহযোগিতায় ভারতে প্রবেশ করেছিল। এরপর কর্মসূত্রে চলে যায় পশ্চিম ভারতের দিকে। সবাই নদিয়া থেকে অবৈধভাবে দেশে ফেরার পরিকল্পনা ছিল। আটক বাংলাদেশিদের শনিবার রানাঘাট মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া এদিন দুপুরে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর সংলগ্ন এমএম তরাই এলাকা থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী আটক করে বাংলাদেশের সাবেক এক গোয়েন্দা সদস্যকে। তার নাম আশরাফুল আলম (৫০)। রংপুরের বাদরগছ এলাকার বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফুল পুলিশকে জানিয়েছে, সে বাংলাদেশের সাবেক গোয়েন্দা সদস্য। প্রায় ছয় মাস আগে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে নদীপথে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। এ দিন তাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় এবং পরে পুলিশের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
একইভাবে বর্ধমান জেলা থেকে আটক করা হয় এক বাংলাদেশিকে। তিনি নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, জীবন বাঁচাতেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিল। বৈধ নথি না থাকা সত্ত্বেও ভারতে অবস্থান করার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। ফরটিন ফরেনারস অ্যাক্ট এবং পাসপোর্ট আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার তাকে বর্ধমান আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ তার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
একই অভিযোগে শুক্রবার (৯ মে) ২৫ জন আটক হয়। এরমধ্যে ১৬ জন নদিয়া জেলা এবং নয়জনকে উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে আটক করা হয়েছিল। অনুপ্রবেশে সহায়তায় এক ভারতীয় দালালকেও আটক করা হয়।
ভিএস/এএটি