ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

স্মার্টফোন এনেছে এলজি

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১২
স্মার্টফোন এনেছে এলজি

কোয়াড কোরযুক্ত স্মার্টফোন আনছে এলজি। এ খবর পুরনো।

২০১২ সালের এমডব্লিউসি সম্মেলনেই স্মার্টফোনে কোয়াড কোর প্রযুক্তির কথা জানিয়েছিল এলজি। এ সময় আধুনিক বৈশিষ্ট্যের এ পণ্য দেখার সামান্য সুযোগ হয়েছিল দর্শক ভক্তদের। এখন তা হাতের নাগালে। তাই পণ্যটি সম্পর্কে পুরোটা জানা ও অভিজ্ঞতা নেওয়ার সময় এসেছে।

স্যামসাং এবং এইচটিসি মাস দুয়েক আগেই ওয়ান এক্স এবং গ্যালাক্সি থ্রি পণ্যে কোয়াড কোর যুক্ত করে। এ খাতায় এলজি খানিকটা পিছিয়ে। তবুও এলজি মোবাইল গ্রাহকদের জন্য আধুনিক ক্ষমতার স্মার্টফোন এনেছে। নতুন এ অপটিমাস ৪এক্স নিয়ে চলছে আলোচনা। এদিকে আলোচকদের ধারণা এলজির বিশেষ পণ্যটি বাজার মাতানোর সম্ভাবনা আছে। তবে বাজারের পাকা খেলোয়াড় অর্থাৎ স্যামসাং এইচটিসির মত পক্কদের সঙ্গে টেক্কা দিতে নিজেকে সুযোগ্য প্রতিযোগী করে তুলতে হবে। সমালোচকরা আরও বলছে, আপাতত যুক্তিতর্ক ছেড়ে পণ্যটির গুণগত মান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে হবে।

অপটিমাস প্রকাশের পরপরই এর কয়েকটি বিষয় গ্রাহকদের ভাবিয়েছে। গ্রাহকদের কাছে গুরুত্ব পাওয়া প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ১.৫ গিগাহার্টজ গতির কোয়াড কোর এনভিডিয়া টেগরা থ্রি প্রসেসর। এ ছাড়া আইপিএস প্রযুক্তির ৪.৭ ইঞ্চির বড় স্ক্রিন। এতে ৭২০ বাই ১২৮০ পিক্সেল আছে। সার্বিকভাবে পিক্সেলের ঘনত্ব ৩১০ পিপিআই যেখানে আইফোন ৪এস মডেলে আছে ৩২৬ পিপিআই।

ফলে এলজির নতুন এ পণ্যের ডিসপ্লে আইকনস এবং টেক্সট খুবই স্বচ্ছ। গঠন বৈশিষ্ট্যও চমৎকার, হালকা ওজন এবং পেছনের অংশের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ফার্ম গ্রিপ বা ক্লিপ। প্রতিষ্ঠানের আশা গঠন মান আরও বৃদ্ধি করা।

স্মার্টফোন আগ্রহীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী এ শক্তিশালী সিপিইউয়ের জন্য নির্বাচন হয়েছে অ্যানড্রইড ৪.০। পণ্যের প্রধান দু অংশই উচ্চমানের। ফলে বাধামুক্তভাবে কার্য পরিচালনা করতে সক্ষম। এটি এলজির অপটিমাস ইউআই ভি৩.০ তে ছিল।

অপটিমাস ৪এক্স মডেলে আছে ভিডিও জুম ইন ও আউটের সুব্যবস্থা। নির্মাতাদের প্রতিশ্রুতি, গ্রাহকেরা এর ২১৫০ এমএএইচ ব্যাটারির মাধ্যমে টুজিতে ৯ ঘণ্টা এবং থ্রিজিতে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত কথা বলতে পারবে।

এতে নির্দিষ্ট ক্যামেরা বাটনের কমতি আছে। তবে ভলিওম কন্ট্রোল কি ব্যবহার করে শাটার কন্ট্রোল করার সুবিধা আছে। এ ছাড়া ক্যমারার উপযুক্ত আলোক সুবিধা থাকায় অল্প সময়ে মধ্যে তোলা সব ছবি ঝকঝকে স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়। ভারতীয় দাম ৩৫ হাজার রুপি। আলোচকরা বলছেন, এর অবশিষ্ট্ বৈশিষ্ট্যগুলোর কার্যক্ষমতা কেমন হবে তা সামনের দিনগুলোই অবহিত করবে।

বাংলাদেশ সময় ০৭৫৫ ঘন্টা, জুলাই ২৮, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।