দেশি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডাটাবিজ সফটওয়্যার মর্যাদাপূর্ণ ‘এমবিলিয়নথ অ্যাওয়ার্ড সাউথ এশিয়া ২০১২’ পুরস্কার পেয়েছে। ভোডাফোনের সঙ্গে যৌথভাবে এ পুরস্কার প্রদান করে ‘ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশন’ (ডিইএফ)।
এবারে তৃতীয়বারের মতো এ পুরস্কার দেওয়া হলো। দক্ষিণ এশিয়ায় মোবাইল খাতে একে সবচেয়ে প্রত্যাশিত পুরস্কার হিসেবে গণ্য করা হয়। এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিশ্রুতিশীল মোবাইল উদ্যোগগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ডিইএফয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এবং এমবিলিয়নথ অ্যাওয়ার্ডের কিউরেটর ওসামা মনজুর জানান, এ পুরস্কার দক্ষিণ এশিয়া থেকে সেরা উদ্যোগগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য প্রবর্তিত। স্বীকৃতিহীন বীরদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সম্ভাবনাময় স্বীকৃতি উদ্যোগকে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক স্বার্থ ছাড়াই সমর্থন দেওয়া এ পুরস্কারের মূল লক্ষ্য।
ডাটাবিজ তাদের ‘ঢাকা আইএটিএম এক্সপ্লোরার’ (Dhaka iATM Explorer solution) সল্যুশন নামের ‘এম-বিজনেস অ্যান্ড কমার্স/ব্যাংকিং’ ক্যাটেগরিতে এ পুরস্কার পেয়েছে। ঢাকা শহরে যেকোনো ব্যাংকের এটিএম বুথ খুঁজে পেতে এ অ্যাপ সাহায্য করবে।
এতে প্রয়োজনীয় সব মৌলিক বৈশিষ্ট্য যেমন কীভাবে সবচেয়ে কাছের ব্যাংক বা ব্রাঞ্চটি খুঁজে বের করতে হবে, সুবিধাজনক, শ্রেণীবদ্ধ অনুসন্ধানের মাধ্যমে কীভাবে অটোমেটিক টেলার মেশিনের খোঁজ পেতে হবে এবং কীভাবে সেখানে যেতে হবে তাও জানিয়ে দেবে এ অ্যাপ সল্যুশন।
এটির লোকেশন সার্চ বক্সে লোকেশনটি লেখার মাধ্যমে ব্যবহারকারী ওই এলাকায় অবস্থিত সব ব্যাংক ও এটিএম লোকেশনের নাম পেয়ে যাবে। এটি একই সঙ্গে ব্যাংকিং বা ফিন্যান্সিয়াল পয়েন্ট ইনফরমেশন অ্যাপ হিসেবেও কাজ করে। বিনামূল্যে প্রদত্ত এ সেবা সবার জন্য উন্মুক্ত।
মূলত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যস্ত নির্বাহীদের প্রয়োজন মেটাতেই এটি তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগানো এ অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজতর এবং আরও সহজ করে তুলেছে। বাংলাদেশে আইফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে এ আইফোনভিত্তিক সেবাটি সামনের দিনগুলোতে ঢাকাবাসীর জীবনে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে।
প্রসঙ্গত, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে এমবিলিয়নথ পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ডাটাবিজ সফটওয়্যারের প্রধান নির্বাহী রাশেদ কামাল প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে রাশেদ কামাল বাংলানিউজকে বলেন, এটা সত্যিই বড়মানের একটি সম্মাননা। আর ভালো কাজে উৎসাহের জন্য এমন স্বীকৃতি প্রয়োজন। সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল আইটি প্লাটফর্ম হিসেবে মোবাইলভিত্তিক সেবামাধ্যম বাংলাদেশের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনা তৈরি করছে। ভবিষ্যতে মোবাইল প্লাটফর্মের উন্নয়নে তাঁর প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়াবে বলে তিনি জানান।
এ পুরস্কারের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে মোট ২৫৩টি প্রকল্প বা উদ্ভাবন জমা পড়ে। এর মধ্যে ২১টি উদ্ভাবন মোট ১০টি ক্যাটেগরিতে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়। ক্যাটেগরিগুলো হচ্ছে এম-নিউজ অ্যান্ড জার্নালিজম, এম-ইনফ্রাস্ট্রাকচার, এম-এন্টারটেইনমেন্ট, এম-হেলথ, এম-এনভায়রনমেন্ট, এম-ইনক্লুশন, এম-গভর্ন্যান্স, এম-বিজনেস অ্যান্ড কমার্স/ব্যাংকিং, এম-ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম, এম-এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং। এ ছাড়া আরও দুটি উদ্ভাবন বিশেষ জুরি পুরস্কার লাভ করে।
বাংলাদেশ সময় ২১১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর