দেশি ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ‘দোয়েল’ নিয়ে দেশের সাধারণ প্রযুক্তিপ্রেমীদের প্রত্যাশা থাকলেও তা পূরণ হয়নি। তাই বাস্তবে এ ব্র্যান্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে গ্রাহক অসন্তুষ্টি।
তবে মানোন্নয়ন করে টেশিস নতুন আঙ্গিকে সরকারি ল্যাপটপ দোয়েলের ‘অ্যাডভান্সড-১৬১২১৩’ মডেল ৪২ হাজার ৩০০ টাকা (কালো রঙ) এবং ‘প্রাইমারি-২১০২’ মডেল ১০ হাজার ৫০০ টাকায় বিপণন কার্যক্রম আবারও শুরু করেছে।
প্রাইমারি মডেল (২১০২)
আগের সংস্করণের তুলনায় এবার কিছূটা গতিশীল করে তৈরি করা হয়েছে ২১০২ মডেলকে। প্রসেসরে এসেছে ৮০০ মেগাহার্টজ গতি। অপারেটিং সিস্টেমে আছে উইন্ডোজ সিই(৬.০) সংস্করণ। সঙ্গে অ্যানড্রইডও আছে। মূল পর্দা ১০ ইঞ্চি এলসিডি (১০২৪ বাই ৬০০) পিক্সেল। ৫১২ এমবি র্যাম। বাড়তি সংযোজন ১৬ জিবি পর্যন্ত ফ্ল্যাশ স্টোরেজ। দাম ১০ হাজার ৫০০ টাকা।
অ্যাডভান্সড মডেল (১৬১২১৩)
অগ্রণী গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে দোয়েল এবার নিয়ে এসেছে নতুন সংস্করণ। ইন্টেল কোরআই(৩) প্রসেসরের এ ল্যাপটপে আছে ৪ জিবি ডিডিআর(৩) র্যাম। মূল পর্দা ১৪ ইঞ্চির লেড ব্যাকলাইটযুক্ত। এ ছাড়াও ৫০০ জিবি সাটা হার্ডডিস্ক, সুপার মাল্টি ডিভিডি, শক্তি সঞ্চালনে ৬ সেলা ব্যাটারি আছে। দাম ৪২ হাজার ৩০০ টাকা। অ্যাডভান্সড মডেল (১৬১২১৩) সঙ্গে বাড়তি উপহার হিসেবে থাকছে দোয়েল ব্র্যান্ডের ব্যাগ, ৮ জিবি পেনড্রাইভ এবং অপটিক্যাল মাউস।
এরই মধ্যে টঙ্গী ছাড়াও রমনার টেশিস বিক্রয় কেন্দ্র থেকে দোয়েলের এ দুটি নির্দিষ্ট মডেলের বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে টঙ্গী ও গুলিস্তানের টেশিস নির্ধারিত বিক্রয় কেন্দ্র ছাড়া দোয়েল ল্যাপটপ না কিনতে জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছে সরকার। আগ্রহীরা (৯৫৬৯৯৫৫, ০১৭১২ ৭২৯৯৮২) এ দুটি নম্বরে ফোন করলে দোয়েল সম্পর্কে তথ্য জানতে পাবেন।
এদিকে দোয়েলের দেশি উৎপাদন সূত্র জানিয়েছ, এ মুহূর্তে টঙ্গীর টেশিস উৎপাদন কারখানায় দোয়েল তৈরি হচ্ছে খুবই ধীরগতিতে। পণ্যের সরবরাহ কমতি এর প্রধান কারণ। এ মুহূর্তে গুলিস্তানের বিটিসিএল ওয়ান পয়েন্ট সার্ভিস সেন্টার থেকে দোয়েল বিক্রি কার্যক্রম নতুনভাবে শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) ছাড়া অন্য কোথাও থেকে দোয়েল পাওয়া যাবে কি না তা নিয়েও সংশয় আছে। সাধারণ মানুষের কাছে যেন দোয়েল অধরাই রয়ে যাবে। উৎপাদনে ধীরগতি এবং পণ্যমান নিয়ে এখনও যথেষ্ট সমালোচনা বিদ্যমান।
এখনও দেশব্যাপী দোয়েলের সরবরাহ কাজ শুরু হয়নি। ফলে সাধারণ দেশি প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য দোয়েল প্রাপ্তী প্রায় অনিশ্চিতই হয়ে পড়ছে। দোয়েল উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ সংস্থা টেশিস দোয়েল বিক্রির জন্য এ পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেয়নি। তবুও বাজারে টেশিস ছাড়াও দোয়েল বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগও আছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোয়েল ল্যাপটপের বাণিজ্যিক বিপণন কার্যক্রমের সূচনা করেন। এরপরই ১০ হাজার টাকায় স্বল্পসংখ্যক নেটবুকের বিতরণ শুরু হয়। তবে এ দামে নেটবুকের বিক্রি এখন বন্ধ আছে।
বাংলাদেশ সময় ১১১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১২