ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ব্যান্ডউইথ রপ্তানির প্রস্তুতি চলছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৫
ব্যান্ডউইথ রপ্তানির প্রস্তুতি চলছে

ঢাকা: ব্যান্ডউইথ রপ্তানির জন্য টেলিযোগাযোগের আন্তঃসংযোগ চালু করার চুক্তি স্বাক্ষরের পর এ সংক্রান্ত কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। দুই দেশ নিজ নিজ অংশে এ বিষয়ে কাজ করছে।

ভারতীয় টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান ভারত সমাচার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) ঘোষণা দিয়েছে এ সপ্তাহের মধ্যেই এ সংক্রান্ত কাজ শুরু হবে।
 
বাংলাদেশের আখাউড়াকে কক্সবাজারস্থ ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে ফর ইন্টানেট সার্ভিস (আইজআইএস)’র সঙ্গে সংযুক্ত করতেই যৌথভাবে কাজটি করবে দুই দেশ।
 
বিএসএনএল’র প্রধান মহাব্যবস্থাপক ডিপি সিংয়ের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এই খবর দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ কাজটির উদ্বোধন করবেন।
 
ভারতের তৎপরতার বিষয়ে তথ্য সম্পর্কে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই দেশ নিজ নিজ অংশে কাজ করছে। তবে ভারতের অংশের প্রস্তুতির বিষয়ে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
 
গত ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) ও ভারত সমাচার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) আখাউড়ায় ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ লিজ দেওয়ার ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
 
এরই প্রক্রিয়ায় আখাউড়ার সঙ্গে কক্সবাজার ও ভারতের আগড়তলাকে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল (ওএফসি) দিয়ে সংযুক্ত করা হবে।
 
ডিপি সিং সাংবাদিকদের বলেছেন, এতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কেবল বড় ধরনের পরিবর্তনই আসবে না, এতে গোটা ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারে অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে।
 
এই প্রকল্পে ভারত সরকার প্রায় পঁচিশ কোটি টাকা ব্যয় করে অবকাঠামো নির্মাণ করবে আর অপটিক্যাল ফাইবার কেবল বসিয়ে বিএসসিসিএল’র কাছ থেকে ১০ গিগা ব্যান্ডউইথ পাবে।
 
প্রায় চার বছরের কূটনীতিক ও রাজনৈতিক পথে কথা চালাচালির পর দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি সম্ভব হয়।
 
বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব হুসনুল মাহমুদ খান বাংলানিউজকে বলেন, তারা (ভারত) তাদের অংশে কাজ করছে, আমরা আমাদের অংশে কাজ করছি। আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।
 
এদিকে বিএসসিসিএল জানায়, বর্তমান সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাপ্ত ব্যান্ডউইথ ২০০ গিগাবাইট পার সেকেন্ড (জিবিপিএস)।   এর মধ্যে বিএসসিসিএল অভ্যন্তরীণভাবে বিক্রি করছে মাত্র ৩২ গিগাবাইট পার সেকেন্ড। সব মিলিয়ে ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যবহার করতে পারছে সর্বোচ্চ ৬০ জিবিপিএস। বাকি ১৪০ জিবিপিএস ব্যন্ডউইথ অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে।
 
ভারতের সাথে তিন বছর মেয়াদের চুক্তির ফরে প্রাথমিকভাবে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানি হবে। এরপর রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে।
 
ব্যান্ড উইথ রপ্তানির জন্য কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা এবং আখাউড়ার স্থলভাগ দিয়ে লিংক সাবমেরিন ক্যাবল গিয়ে যুক্ত হবে ভারতের গোহাটিতে। দেশের সাবমেরিন ক্যাবলের ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কুমিল্লা পর্যন্ত আসবে ফাইবার অপটিক ক্যাবল লাইন। এরপর কুমিল্লা থেকে আখাউড়া সীমান্ত পেরিয়ে আগরতলা হয়ে ত্রিপুরা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে ইন্টারনেট সংযোগ। এর জন্য নতুন করে প্রায় ৩২ কিলোমিটার নতুন লিংক লাইন তৈরি করতে হবে।
 
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব হুসনুল মাহমুদ খান বলেন, অপটিক্যাল ফাইবার বাসনোর ক্ষেত্রে এ বিষয়ে রেলওয়ের সাথে কাজ চলমান রয়েছে। এর চেয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি এই কর্মকর্তা।
 
বাংলাদেশ সময় ০৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৫
এমআইএইচ/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।