ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রামীণফোনের অভিভাবক গাইড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রামীণফোনের অভিভাবক গাইড ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপদ রাখতে অভিভাবকদের জন্য গাইড বই উন্মোচন করলো গ্রামীণফোন। অভিভাবকরা কীভাবে শিশুদের ইন্টারনেটে নিরাপদ রাখবে সে বিষয়ে যাবতীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া এ গাইড বইটি প্রকাশ করেছে টেলিনর।



বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল ও কলেজে গাইড বইটির উন্মোচন করা হয়।

গ্রামীণফোনের একক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। এ উন্মোচন অনুষ্ঠান বাবা-মা ও শিশুদের মধ্যে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার সচেতনতা তৈরিতে গ্রামীণফোনের নিয়মিত প্রচেষ্টারই অংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি এশিয়ার লাখ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু করেছে। কিন্তু ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার এবং এতে খুঁজে পাওয়া যায় অনেক স্পর্শকাতর বিষয়ে শিশুদের সঙ্গে কথা বলতে অভিভাবকদের বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। দায়িত্বশীল মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিনর এ গাইড বই প্রকাশ করেছে, যাতে বাবা-মায়েরা ইন্টারনেটের সঠিক কন্টেন্ট সম্পর্কে বাচ্চাদের নির্দেশনা দিতে পারেন।

তারা যাতে বাচ্চাদের আলোচনার মাধ্যমে আমাদের প্রতিদিনকার জীবনে ইন্টারনেটের ভূমিকা সম্পর্কে বোঝাতে পারেন সে বিষয়েও জানানো হয়েছে বইটিতে।
 
টেলিনর ও এর এশিয়ান ব্যবসায়িক অঙ্গসংগঠনগুলো বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেটের প্রচারণা চালাচ্ছে।  

গাইড বই উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নিরাপদ ইন্টারনেটের ওপর একটি আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অগ্রণী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুজ্জামান ভূঁইয়া, ইউনিসেফের চাইল্ড প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট জামিলা আখতার, ব্র্যাকের কমিউনিকেশনস লিড রনি মির্জা এবং গ্রামীণফোনের করপোরেট রেসপন্সিবিলিটির প্রধান দেবাশিষ রায়।

গ্রামীণফোনের ডিজিএম পাবলিক রিলেশনস মো. হাসান আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা ইন্টারনেট বিষয়ে বাবা-মা ও শিশুদের করণীয় সম্পর্কে অর্থাৎ, কী করবে বা কী করবে না- এ সম্পর্কিত রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন। এসব রূপরেখার মাধ্যমে শিশুরা ইন্টারনেটের কোনো নেতিবাচক দিকে বিভ্রান্ত না হয়ে ইতিবাচকভাবে এর অফুরস্ত ব্যববহার করতে পারবে।

দেবাশিষ রায় বলেন, কার্যক্রম পরিচালনায় গ্রামীণফোন যে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল, এ গাইড বইয়ের উন্মোচন তারই প্রমাণ। আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, আমরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ সচেতন। এটা আমাদের দায়িত্ব তাদের চারপাশে তাদের যে জ্ঞানার্জনের উৎস রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে তাদের সম্পূর্ণভাবে অবহিত করা।  

ইন্টারনেট সম্পর্কে স্বল্প ধারণা বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হলে প্রযুক্তি বিষয়ে অনভিজ্ঞ বাবা-মা ও শিশুদের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
গাইড বইটি বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই প্রকাশ করা হয়েছে। গ্রামীণফোন টার্গেট গ্রুপের মধ্যে গাইডবুকটি বিতরণ করবে।

সবার জন্য ইন্টারনেট নিশ্চিত করা গ্রামীণফোনের অন্যতম প্রয়াস। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের মধ্যে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করছে।

এ বিষয়ে গ্রামীণফোন, ব্র্যাকের সহায়তায় সারাদেশে ৫শ স্কুলে কর্মশালা আয়োজন করবে। এ বছরের শুরুতে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবসে গ্রামীণফোন ইন্টারনেট সচেতনতা নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন ও দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে প্রচারণা চালায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।