ঢাকা: থ্রি-জি সেবা দেশের সব এলাকায় না পৌঁছালেও বিলুপ্ত ছিটমহল দহগ্রামে যাচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই সেবা। শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন চালু করছে এই কার্যক্রম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দহগ্রাম আঙ্গরপোতায় গ্রামীণফোনের থ্রি-জি নেটওয়ার্কের উদ্বোধন করবেন।
সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গরপোতায় ৫০ হাজার অধিবাসীর জন্য থ্রি-জি নেটওয়ার্ক চালু করা হচ্ছে। আর প্রথমবারের মতো এ কাজটি করছে গ্রামীণফোন।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম দহগ্রাম স্কুল মাঠে থেকে আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম থ্রি-জি নেটওয়ার্কের উদ্বোধনে অংশ নেবেন বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানিযেছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, থ্রি-জি সেবার মাধ্যমে সাবেক এই ছিটমহল এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ওই ইউনিয়নে উন্নত যোগাযোগ সেবা আরও অনেক সুযোগের দরজা খুলে দেবে থ্রি-জি ইন্টারনেট।
ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন ৬৮ বছরের বঞ্চনার শিকার এসব অধিবাসী।
বিটিআরসি জানায়, থ্রি-জি সেবার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি বিষয়ক সেবা গ্রহণ করা যাবে। ইন্টারনেটের অসীম শক্তি ব্যবহার করে এগিয়ে যাবে জীবন প্রণালী। আরও সহজ, স্বচ্ছন্দ্য ও গতিশীল হবে অধিবাসীদের জীবন। হাতের মুঠোয় পৌঁছে যাবে সব সেবা।
ইচ্ছে করলেই প্রবাসী ছেলেদের সঙ্গে ভিডিও ও কথা বলতে পারবেন বিলুপ্ত দহগ্রাম ছিটের বাসিন্দারা।
গত ১ আগস্ট বাংলাদেশের জন্য নতুন এক দিনের সৃষ্টি হয়। সেদিন ছিটমহল নামের ‘অমানবিক’ ব্যবস্থার অবসান ঘটে।
৬৮ বছরের বঞ্চনা থেকে মুক্তি পায় বাংলাদেশ ও ভারতের ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
বিলুপ্ত ছিটবাসীকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করতে এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তাই থ্রি-জি সেবা দেশের সব এলাকায় না পৌঁছালেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিলুপ্ত ছিটমহলে যাচ্ছে এই সেবা।
গ্রামীণফোনের মত অন্য অপারেটরগুলোও বিলুপ্ত ছিটমহলে এই সেবা চালু করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
এমআইএইচ/এমএ