ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আঙ্গরপোতা-দহগ্রামে থ্রি-জি সেবা

গ্রামীণফোনকে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
গ্রামীণফোনকে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: লালমনিরহাটের আঙ্গরপোতা-দহগ্রামের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে থ্রি-জি সেবা চালু করায় গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আঙ্গরপোতা, দহগ্রামে থ্রি-জি সেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।



এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল টেলিফোন সহজলভ্য করেছি ‍আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে। ’

বিএনপির আমলে মোবাইল ফোনের দাম ছিলো ১ লাখ ২০ হাজার। কলরেট ছিলো ১০ টাকা মিনিট। বিএনপির এক মন্ত্রী এটা চালাতেন। সেটাও আবার চট্টগ্রাম আর ঢাকায় কিছুটা সহজলভ্য ছিলো।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে মোবাইল সেবাকে প্রাইভেট সেক্টরে নিয়ে আসি। প্রথমে গ্রামীণফোন, একটেল ও সেবাকে প্রাইভেটে ব্যবসা করার সুযোগদেই। আজ আমরা থ্রি-জিতে চলে গেছি। গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ আঙ্গরপোতা-দহগ্রামের মতো এমন একটি প্রত্যন্ত এলাকায় এ সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য।

গণভবনে এসময় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি সহ অন্য কর্মকর্তারা।

অপরদিকে দহগ্রাম থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার টিএম মোজাহেদুল ইসলাম, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, ইউএনও নুর কুতুবুল আলমসহ গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা।
 
ভিডিও কনফারেন্সে দহগ্রামবাসীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লালমনিরহাটে অনেক গিয়েছি, এ বছর কুড়িগ্রামে সফর করেছি। আগামীতে লালমনিরহাটের দহগ্রামে আসবো। অবশ্যই আসবো।

দহগ্রাম আঙ্গরপোতার উন্নয়ন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে আমরা  সুপেয় পানির ব্যবস্থ‍া করেছি। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিতে নামকরা ডাক্তাররা যান, সারাদিন থাকেন। লালমনিরহাটের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করার জন্য তিস্তার উপর ব্রিজ করেছি। এখন ওখানকার আশপাশের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়েছে। একসময় ব্রিজের উপর দিয়ে রেল গেলে গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।

এসময় দেশের প্রায় আট হাজার পোস্ট অফিসকে ডিজিটাল করা হচ্ছে এবং সাড়ে ৩ হাজার ইতোমধ্যে হয়ে গেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটের মঙ্গা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের মঙ্গা দূর করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটকে এখন আর কেউ মঙ্গাপীড়িত এলাকা বলে না। লালমনিরহাটের রেলজংশনটা মৃতপ্রায় ছিলো। সেটা আমরা আবার নতুন করে দিচ্ছি। এটা কুড়িগ্রামেও যাবে। সহজ হবে যোগাযোগ।

এর আগে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গরপোতায় ৫০ হাজার অধিবাসীর জন্য থ্রি-জি নেটওয়ার্ক চালু হলো। আর প্রথমবারের মতো এ কাজটি করেছে গ্রামীণফোন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, থ্রি-জি সেবার মাধ্যমে সাবেক এই ছিটমহল এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ওই ইউনিয়নে উন্নত যোগাযোগ সেবা আরও অনেক সুযোগের দরজা খুলে দেবে থ্রি-জি ইন্টারনেট।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন ৬৮ বছরের বঞ্চনার শিকার এসব অধিবাসী।

বিটিআরসি জানায়, থ্রি-জি সেবার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি বিষয়ক সেবা গ্রহণ করা যাবে। ইন্টারনেটের অসীম শক্তি ব্যবহার করে এগিয়ে যাবে জীবনপ্রণালী। আরও সহজ, স্বাচ্ছন্দ্য ও গতিশীল হবে অধিবাসীদের জীবন। হাতের মুঠোয় পৌঁছে যাবে সব সেবা।

** দহগ্রামে থ্রিজি পৌঁছে দিল গ্রামীণফোন

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫/আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।