ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন ওয়াসফিয়া নাজরীন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৬
গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন ওয়াসফিয়া নাজরীন

ঢাকা: সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয়ী ওয়াসফিয়া নাজরীনকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিতে চুক্তি করেছে গ্রামীণফোন।
সম্প্রতি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ওয়াসফিয়া নাজরীনকে নিয়োগ দিতে একটি চুক্তি সই করেছে প্রতিষ্ঠানটি।



বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সাতটি মহাদেশের সেভেন সামিট (সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ) জয়ী ওয়াসফিয়া গ্রামীণফোনের সঙ্গে সামাজিক ক্ষমতায়নে কাজ করবেন বলে সোমবার (৩ অক্টোবর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।

২০১১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন ও এই সময়ে সব ক্ষেত্রে নারীর অগ্রযাত্রাকে সম্মান জানাতে ওয়াসফিয়া তার মহাকাব্যিক অভিযাত্রা শুরু করেন। ২০১৫ সালে তিনি প্রথম ও একমাত্র বাঙালি হিসেবে সেভেন সামিট জয়ের দুর্লভ রেকর্ড করেন এবং বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে পরিচিত করে তোলেন।  

গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে উচ্ছ্বসিত ওয়াসফিয়া বলেন, গ্রামীণফোনের মতো বিশ্বস্ত একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমার ভালো লাগছে। এদেশে যাত্রা শুরুর পর থেকেই গ্রামীণফোন সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে ও তাদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। গ্রামীণফোন মানুষকে বহুদূর যেতে ও তাদের স্বপ্নের পেছনে ছুটতে অনুপ্রাণিত করছে।

তিনি বলেন, আমি কখনই আমার স্বপ্ন বিসর্জন দেইনি, লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি। বহুদূরের যাত্রা কেবল শুরু হয়েছে। আমার যেমন একটি লক্ষ্য রয়েছে, তেমনি ব্র্যান্ড হিসেবে গ্রামীণফোনেরও লক্ষ্য রয়েছে উৎকর্ষে পৌঁছানোর। প্রতিষ্ঠানটি তার লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এভারেস্ট বিজয়ী ওয়াসফিয়া গ্রামীণফোনকে শুধু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানই মনে করেন না। শুরু থেকেই গ্রামীণফোন সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণফোন নির্দিষ্ট গণ্ডি থেকে বেরিয়ে সব বয়স, শ্রেণি ও পেশার মানুষকে উৎসাহিত করতে বছরজুড়ে অনলাইন স্কুল, সাধারণ মানুষের শিক্ষার জন্য সহজে ইন্টারনেটে শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়ন বিষয়ক অন্য উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ওয়াসফিয়া দেশ ও দেশের মানুষকে গ্রামীণফোনের নানা উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত করে তাদের সফলতার পথে নেতৃত্ব দিতে চান।
 
শিক্ষাজীবন থেকেই ওয়াসফিয়া মানবাধিকার, উন্নয়ন, গবেষণা ও পরিবেশ সংরক্ষণে জড়িত। নারীর ক্ষমতায়নে অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করার জন্য ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ২০১৪ সালে ওয়াসফিয়াকে বর্ষসেরা অভিযাত্রীর ঘোষণা দিয়ে সম্মানিত করে। আবার ২০১৬ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক তাকে এমার্জিং এক্সপ্লোরার খেতাব দেয়।
 
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে তিনি একইসঙ্গে অভিযাত্রী ও এক্সপ্লোরার খেতাবধারী। ওয়াসফিয়া গ্রামীণফোনকে সঙ্গে নিয়ে তার সাফল্য যাত্রা অব্যাহত রাখবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৬
এমআইএইচ/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।