ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টিকিয়ে রাখতে টেলিটকের খরচ ‘কমছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
টিকিয়ে রাখতে টেলিটকের খরচ ‘কমছে’ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার- ছবি- কাশেম হারুন

ঢাকা: রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটককে টিকে রাখতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, এক নম্বরে যেতে ট্যারিফ কমানোর চেষ্টা করা হবে।
 

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি ভবনে বর্তমান সরকারের অধীনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘এগিয়ে যাওয়ার আরো চার বছর’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান মন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, টেলিটকের সিম কেনার জন্য এক সময় পুলিশের লাঠির আঘাত সহ্য করতে হয়েছে।

সেই টেলিটক কী কারণে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়নি? দু’তিন মাসের মধ্যে গ্রাহক সংখ্যা ৩২ লাখ থেকে ৪৫ লাখে উন্নীত হয়েছে। আমি বলেছি, ৪৫ লাখ না, সবার উপরের আসনটি গ্রহণ করতে হবে। মূল্য হ্রাস করা…। এমডি বলেছেন, আমার তো সর্বনিম্ন বার দেওয়া আছে, এর নিচে দিতে পারবো না’।
 
‘বলেছি বারটা কে দিয়েছে, বলে যে বিটিআরসি। কোন মন্ত্রণালয়, বলে এই মন্ত্রণালয়। তাহলে আমরা দু’ভাইয়ে এই বারটা ঠিক করতে পারি না? আসেন, বিটিআরসি চেয়্যারম্যান আমার পাশে আছে, আপনি আছেন, কত কমালে কী করলে এক নম্বর আসনে যেতে পারবেন, চলেন সেটা করি। আমি চেষ্টা করি সহসা সেটা করতে পারবো। টেলিটক যাতে আবার একটি ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারে’।
 
তবে মন্ত্রী বলেন, আমরা বাইরে থেকে দেখি টেলিটক করতে পারিনি। একটি খুব বড় বিষয়, টেলিটকের এমডি বলে দিয়েছেন, স্যার, প্রাইভেট অপারেটররা হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, আমি সেখানে বিনিয়োগের জন্য ইক্যুপমেন্ট পাইনি। আমরা বিটিএস বাড়াতে পারিনি। প্রাইভেট অপারেটরের আছে ১২ হাজার, আমার আছে মাত্র এক হাজার বিটিএস। আমি এক হাজার দিয়ে কী কাভারেজ করবো?
 
“সুখের বিষয়, একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে, প্রত্যাশা করি এই জায়গাটার ক্ষেত্রে চমৎকারভাবে এগিয়ে যেতে পারবো। ”
 
ট্যারিফ কমানোর ক্ষেত্রে অন্য নীতিগত অবস্থান নেওয়া হবে জানিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, টিকে থাকার জন্য প্রতিযোগিতামূলকভাবে যাতে জনগণের কাছে যেতে পারে এবং কোনো বার যেন আটকাতে না পারে। বারটাকে নিচের দিকে রাখতে চাই।
 
ডাক বিভাগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিকভাবে রুগ্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে ডাক বিভাগ। প্রযুক্তিগত দিক থেকে ডাক বিভাগ ডায়নোসরের যুগে পৌঁছেছে। আমাদের জন্য প্রয়োজন নেটওয়ার্ক, বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী যারা তৃণমূল মানুষের সঙ্গে জড়িত, তাকে বিলুপ্ত করতে চাই না। উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল হাবে পরিণত করার নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা ডিজিটাল হাবে পরিণত করবো।
 
মন্ত্রী বলেন, টেলিফোন শিল্প সংস্থা নিয়ে বিপন্ন বোধ করি, যে ঘটনা টেলিটকের ক্ষেত্রে ঘটেছিলো একই ঘটনা দোয়েলের ক্ষেত্রে হয়েছিলো। লাইনে দাঁড়িয়ে কিনেছিলো, সেই দোয়েল ল্যাপটপ প্রথম দফার বদনাম দূর করতে পারেনি। তবে ল্যাপটপগুলো ভালোভাবে কাজ করছে বলে মনে করেন মন্ত্রী। বিটিসিএল লোকসানি প্রতিষ্ঠান, একে লাভজনক করা যাবে।
 
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সংবাদ সম্মেলনে বিগত চার বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং আগামীর পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
 
আইসিটি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।