ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ হতে পারে সম্ভাবনাময় উৎস

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ হতে পারে সম্ভাবনাময় উৎস

ঢাকা: জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিম বলেছেন, বাংলাদেশ হতে পারে জাপানের জন্য তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষকর্মী ও পেশাজীবীদের আকর্ষণীয় উৎস। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে আগামী দিনের তথ্যপ্রযুক্তির গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য।

শুক্রবার (১৩ জুলাই) টোকিওর শোখেন কাইকানে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

 

তথ্যপ্রযুক্তিখাতে বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক এই সেমিনারের আয়োজন করে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস। এতে সহযোগিতা করে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো), মিতশুবিশি ইউএফজে এবং লিঙ্কস্টাফ। সেমিনারে প্রায় ১৫০টি জাপানি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জানান, আজকের সেমিনার জাপানে বিগত ১৮ মাসে বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক ৭ম আয়োজন। এ থেকেই বোঝা যায় বাংলাদেশ এই খাতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রতিটি সেমিনারে জাপানি প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উপস্থিতি তাদের আগ্রহ প্রদর্শন করে।  

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিশ্লেষণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ৩২তম বৃহৎ অর্থনীতি এবং আমাদের প্রবৃদ্ধির হার খুবই স্থিতিশীল। আশা করা হচ্ছে এ বছরও ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হবে। তিনি আরো বলেন, জাপান বাংলাদেশের ৮ম বৃহৎ রপ্তানি বাজার এবং দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশে বর্তমানে ২৬০টি জাপানি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পরিচালনা করছে।  

দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাবাব ফাতিমা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রায় ২ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি  বাজার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ বিদ্যমান-তাই বাংলাদেশই হবে আগামী দিনের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নতুন গন্তব্য।  

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি দক্ষ-অদক্ষ জনশক্তি বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন। গত বছরও প্রায় ১০ লাখের বেশি দক্ষ-অদক্ষ জনশক্তি বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন ও তারা সেখানে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।  

বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে জেট্রোর অবস্থান তুলে উপস্থাপনা করেন জেট্রোর সিনিয়র ডিরেক্টর তাকাশি সুজুকি। বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে সুজুকি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির প্রাচুর্য রয়েছে যা জাপানের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।  

বাংলাদেশের অর্থবাজার ব্যবস্থা ও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন মিতশুবিশি ইউ.এফ.জের ঢাকার প্রধান প্রতিনিধি হিদেকি কোজিমা। কোয়ালকম এর পরিচালক এহেসানুল ইসলাম সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের উপর উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) জাকির হোসেন। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়নের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
টিআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।