রোববার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এবং ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ডাক টিকিট দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
২০০৩ সাল থেকে ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ডাক টিকিট দিবস পালিত হয়ে আসছে।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই ভারতীয় নাগরিক বিমান মল্লিকের ডিজাইন করা আটটি ডাক টিকিট মুজিব নগর সরকার, কলকাতায় বাংলাদেশ মিশন ও লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে মুজিব নগর সরকার কূটনৈতিক প্রক্রিয়া হিসেবে স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে ডাক অধিদফতর প্রকাশিত পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাক টিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন। এ বিষয়ে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়েছে।
স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড ঢাকা জিপিও এর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। পরে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সব ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকিট বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা আছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মণ্ডল এবং ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আনোয়ার হোসেন মল্লিক।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এমআইএইচ/ওএইচ/