বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ইনফোজিলিয়ন টেলিটেক বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাবরুর হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জিরো আওয়ার থেকে অর্থাৎ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড এমএনপি সিস্টেম চালু হবে।
মাবরুর হোসেন আরও বলেন, এমএনপি সেবা চালুর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে সব কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। অন্যান্য সব মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে কানেকটিংসহ সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া উইং) জাকির হোসেন খাঁন বলেন, আগামী ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে এমএনপি সেবার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
লাইসেন্স গ্রহণের পর নির্ধারিত সময় ৩০ মে'র মধ্যে এমএনপি চালুর কথা থাকলেও মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো প্রস্তুত না হওয়ায় এ সেবা গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত করতে পারেনি সেবাদাতা অপারেটরটি। কয়েক দফা পেছানোর পর দুই মাসের মধ্যে এমএনপি সেবা চালু করার সিদ্ধান্ত দেয় বিটিআরসি।
গ্রাহককে এ সেবা পেতে হলে নির্দিষ্ট ফি প্রদান ও পুরনো সিম বদল করে নতুন সিম নিতে হবে। আগে ৩০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হলে ফি বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে।
পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেবা চালু হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন না। এমএনপি সেবা নিতে হলে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোনের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে। সেখানে ৫০ টাকা চার্জ পরিশোধের পর পুরনো সিম বদল করে নতুন সিম নিতে হবে।
অপারেটর পরিবর্তনে গ্রাহকদের সহযোগিতা দিতে ইতোমধ্যে টিকিটিং পদ্ধতির হেল্প ডেস্ক চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি ওয়েবসাইটে (www.infotelebd.com) প্রয়োজনীয় তথ্য ও এনিমেশন যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ই-মেইলের মাধ্যমেও গ্রাহকেরা যোগাযোগ করতে পারবেন।
এমএনপি সেবা চালু হলে গ্রাহককে উত্তম সেবা দিতে অপারেটররা টিকে থাকতে প্রতিযোগিতামূলকভাবে সেবার মান উন্নত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সেবা চালু থাকলেও পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ, তবে সেবাটি উন্মুক্ত হওয়ার পর গ্রাহকের নেটওয়ার্ক পছন্দের স্বাধীনতা তৈরি হবে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর এমএনপি সেবার জন্য ইনফোজিলিয়নের কাছে লাইসেন্স হস্তান্তর করে বিটিআরসি। এর আগে বিটিআরসি বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার যৌথ কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ান বিডি-টেলিটেক’কে নোটিফিকেশনপত্র বা অনুমতিপত্র দেয় ৭ নভেম্বর।
লাইসেন্সপ্রাপ্তির পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে দেশের মোবাইল গ্রাহকদের মধ্যে কমপক্ষে ১ শতাংশ, এক বছরের মধ্যে ৫ শতাংশ এবং পাঁচ বছরের মধ্যে ১০ শতাংশ রোল আউট বাস্তবায়ন করা কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এমআইএইচ/ওএইচ/