ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

করোনা: এশিয়া প্যাসিফিকে হুয়াওয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
করোনা: এশিয়া প্যাসিফিকে হুয়াওয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

ঢাকা: করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সবার স্বার্থে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর প্রযুক্তিসেবা, ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ও স্মার্টফোন দিয়েছে হুয়াওয়ে।

করোনা মোকাবিলায় হুয়াওয়ের ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম উপহার হিসেবে গ্রহণ করছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর ফলে যোগাযোগ সমস্যার সমাধান হওয়ায় তারা দূর থেকেই দক্ষ হাতে সমন্বয় করতে পারছে।

এতে স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যেও করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি কমেছে।  

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
 
বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ এ অঞ্চলের অনেক দেশে নতুন এসব প্রযুক্তিসেবার মাধ্যমে চলমান মহামারি মোকাবিলায় সাহায্য করছে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি।
 
হুয়াওয়ে প্রদত্ত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সেবাগুলো ব্যবহার করে বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্ভূত যোগাযোগ সমস্যাসহ আরও সমস্যার সমাধান করতে পারছে আক্রান্ত দেশগুলো।     
 
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভূমিকাই মুখ্য। এক্ষেত্রে হুয়াওয়ের টেলিমেডিসিন সেবা এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, যেটি করোনা মোকাবিলায় চারটি প্রধান ক্ষেত্র- সরাসরি ভিডিও প্রদর্শন; দূর থেকে রোগ নির্ণয়, রোগ প্রতিরোধ ও সমন্বয় সাধনে প্রত্যক্ষ অবদান রেখে চলেছে।
 
থাইল্যান্ডে বিভিন্ন হাসপাতাল ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে হুয়াওয়ের টেলিমেডিসিন ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনলাইনে পরামর্শ ও ট্রেনিং আদান-প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন সম্ভব হচ্ছে, যেটি মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে দেশটির মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের সহায়তা করছে। থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ মন্ত্রণালয় হুয়াওয়ের ৫জি সমাধান এবং এআই প্রযুক্তিনির্ভর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসাব্যবস্থা চালু করেছে। উচ্চ গতি সংযুক্ত লো ল্যাটেন্সির (দ্রুতি) এই সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসেবা ব্যবহারের ফলে দেশটির করোনা মোকাবিলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।   
 
ফিলিপিন্সের বাগুইয়ো জেনারেল হাসপাতাল ও মেডিক্যাল সেন্টারে হুয়াওয়ের এআই নির্ভর সিটি স্ক্রিনিং বসানো হয়েছে, যেটি করোনা শনাক্তে চিকিৎসকদের সহায়তা করছে।
 
সিঙ্গাপুরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি প্রাত্যহিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে হুয়াওয়ে ক্লাউড সেবা গ্রহণ করছে ‘সেভেন-নেটওয়ার্ক’।  
 
হুয়াওয়ে ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ও এর এআই নির্ভর রোগ নির্ণয় প্রযুক্তির মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়েই করোনা শনাক্ত করা যাচ্ছে। এতে রোগ নির্ণয়ে সময় যেমন কম লাগছে, তেমনি দ্রুততার সঙ্গে রোগের অবস্থা সংক্রান্ত নির্ভুল তথ্য পাওয়া যাচ্ছে; যা করোনা চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।    
 
করোনা মোকাবিলায় গৃহীত কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে ক্লাউডের এন্টি-কোভিড-১৯ পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে মূলত পাঁচটি প্রধান প্রেক্ষাপটের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- দূর থেকে অফিস করা, এআই সহায়তা প্রদান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা এবং অনলাইন শিক্ষা। এই কর্মসূচিতে যুক্ত অংশীদাররা কেবল ব্যবসা, বাজার এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রেই লাভবান হবেন না, বরং ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের সমান মূল্যমানের ক্লাউড সুবিধা একেবারে বিনামূল্যে ভোগ করার সুযোগও পাবেন।
 
স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে ক্লাউড ইআই-হেলথ দিচ্ছে, যার মধ্যে ভাইরাল জিনোম শনাক্তকরণ, সিলিকো স্ক্রিনিংয়ে এন্টিভাইরাল ওষুধ এবং এআই নির্ভর সিটি স্ক্রিনিং সেবাও অন্তর্ভুক্ত।  
 
অন্যদিকে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্লাউডে ব্যবসা স্থানান্তরে সাহায্য করা হচ্ছে, যাতে এই মহামারির সময়েও তারা ভালোভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে যেতে পারে।  
 
শিক্ষাক্ষেত্রে স্কুলসহ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন শিক্ষাসেবার লক্ষ্যে অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে হুয়াওয়ে ক্লাউড। ইন্দোনেশিয়ার ইউলার্নিং হুয়াওয়ে ক্লাউডের সাহায্যে অনলাইন শিক্ষা সমাধান চালুতে কাজ করেছিল, পরবর্তীসময়ে যেটা জাকার্তার মুহাম্মাদিয়া ইউনিভার্সিটিতে প্রয়োগ করা হয়েছে।     
 
করোনা সংকটকালে নতুন প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন এলাকার নানান জনগোষ্ঠীর মধ্যে গুণগত শিক্ষাকে সহজলভ্য করতে সম্প্রতি একটি ওয়েব সেমিনারের আয়োজন করে হুয়াওয়ে। ইউনেস্কো আইআইটিই ও ইউনেস্কো আইসিএইচইআই এর অংশীদারিত্বে ‘অনলাইনে উচ্চশিক্ষা’ বিষয়ক এ সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।
 
শতাধিক অনলাইনে স্বশিক্ষা কার্যক্রমের ভিত্তিতে পরিচালিত ‘ট্রেইন দ্য ট্রেইনার’ কর্মসূচির মাধ্যমে চলতি এপ্রিল মাস থেকে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী প্রশিক্ষিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া দেড় হাজারেরও বেশি সংখ্যক শিক্ষককেও এই কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।