ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

পরিচালন ব্যয়-টাইম টু মার্কেট কমাবে ক্লাউড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
পরিচালন ব্যয়-টাইম টু মার্কেট কমাবে ক্লাউড

ঢাকা: পরিচালন ব্যয় ব্যবস্থাপনা এবং অত্যাধুনিক আইসিটি সমাধানের মাধ্যমে বাজারে অবস্থান নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ক্লাউডসেবা। হুয়াওয়ে, ব্যবসায়িক নেতারা এবং আইটি বিশেষজ্ঞসহ এ খাতের অংশীদাররা বুধবার (১২ আগস্ট) হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড আয়োজিত হুয়াওয়ে ক্লাউড বাংলাদেশ সামিট অনলাইন শীর্ষক সামিটে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

‘গ্রো উইথ সার্জিং ক্লাউড’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত এ সামিটে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ ও বৃহৎ শিল্প খাতগুলো কীভাবে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং শক্তিশালী ইকোসিস্টেম তৈরিতে কী ধরনের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে পারে তা নিয়েও সামিটে আলোচনা করা হয়।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং ঝেংজুন এতে স্বাগত বক্তব্য দেন। হুয়াওয়ে ক্লাউড এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের চিফ টেকনিকাল অফিসার টেক গুয়ান নিও এবং হুয়াওয়ে ক্লাউড এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ইকোসিস্টেম ম্যানেজার টিনা ফায়ো নান্দার কিয়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও সম্মেলনে ৫০ এরও বেশি হুয়াওয়ে পার্টনাররা উপস্থিত ছিলেন।

 

সামিটে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এর ক্লাউড পার্টনার প্রোগ্রাম ও ফাইভজি, ক্লাউড এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সংশ্লিষ্ট বিশ্বখ্যাত এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্রুত বিকাশে সহায়তা করার জন্য ‘ইনক্লুসিভ এআই’ কৌশল সম্পর্কে অবহিত করে। এছাড়াও, সামিটে ভর্চ্যুয়াল মাধ্যমে হুয়াওয়ে ক্লাউড ডেমো সেন্টার দেখানো হয়। সামিটে অংশগ্রহণকারীরা হুয়াওয়ে ক্লাউড ডেমো সেন্টারের নানা সমাধান প্রত্যক্ষ করেন।  

সামিটে ঝাং ঝেংজুন বলেন, গত ২১ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে হুয়াওয়ে তাদের অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত খুব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং হুয়াওয়ে এ যাত্রায় ক্লাউড প্রযুক্তি এর লক্ষ্য: ‘অ্যাপ্লিকেশন ও ডাটা সক্ষমতা এবং ইন্টেলিজেন্ট বিশ্ব বিনির্মাণ’-এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের বিশ্বাস, সব অংশীদারদের সহায়তায় আমরা কার্যকরভাবে ক্লাউড সমাধানগুলো বিস্তৃত করতে পারবো এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে এবং একই সঙ্গে সাফল্য অর্জন করতে পারবো।

টেক গুয়ান নিও বলেন, আমাদের ক্লাউডসেবার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন খাতের নানা প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিচ্ছি। আমরা মনে করি, ক্লাউডসেবা সবার জন্য সহজলভ্য হওয়া উচিত। হুয়াওয়েতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমরা আমাদের পার্টনারদের সুবিধার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

 

টিনা ফায়ো কিয়াও বলেন, ‘প্রতিটি খাতে পার্টনারদের অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োগ এবং এর উন্নয়ন ও বিকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাপেক অঞ্চল অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সম্ভাবনার দিকে বিকশিত হচ্ছে। হুয়াওয়ে ক্লাউড পার্টনার নেটওয়ার্কের (এইচপিসিএন) প্রোগ্রামগুলো এ অঞ্চলে ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে এবং টেকসই ও শক্তিশালী ইকোসিস্টেমের বিকাশে সহায়তা করবে।  

হুয়াওয়ে বৈশ্বিকভাবে হুয়াওয়ে ক্লাউড পার্টনার নেটওয়ার্ক (এইচপিসিএন) তৈরি করেছে, বাংলাদেশের পার্টনারসহ যেখানে ছয় হাজার ক্লাউড পার্টনার রয়েছে। খাতসমূহের প্রবৃদ্ধির জন্য এইচপিসিএন -এ পাঁচটি পার্টনার প্রোগ্রাম রয়েছে। প্রোগ্রামগুলো হলো: সল্যুশন পার্টনার প্রোগ্রাম, সার্ভিস পার্টনার প্রোগ্রাম, সফটওয়্যার পার্টনার প্রোগ্রাম, মার্কেটপ্লেস প্রোগ্রাম, এআই পার্টনার ক্লাব প্রোগ্রাম এবং ক্যারিয়ার পার্টনার প্রোগ্রাম।  

 বাংলাদেশ সময়: ০২৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।