ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

৫জি ইন্টারনেট প্রকল্পে ৯০০ কোটি টাকা বেশি চায় বিটিসিএল 

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
৫জি ইন্টারনেট প্রকল্পে ৯০০ কোটি টাকা বেশি চায় বিটিসিএল  ...

ঢাকা: দেশের পল্লী এলাকা পর্যন্ত উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। প্রকল্পের আওতায় বিটিসিএলের টেলিযোগাযোগ কাঠামো আধুনিকীকরণসহ উচ্চমানের ট্রান্সমিশন সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

বিদ্যমান অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্কে রিং টাইপ নেটওয়ার্ক টপোলজি স্থাপন করে দেশের জনগণকে আধুনিক আইসিটি সেবা দেওয়া হবে।

এর আগে এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় চাওয়া হয়েছিল ৩৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু পুনর্গঠিত ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১ হাজার ২৬৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা, যা আগের ডিপিপির চেয়ে প্রায় ৮৯৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ২৪৩ শতাংশ বেশি।  

মাত্র এক বছরের মধ্যেই প্রকল্পের ব্যয় এত অধিক বৃদ্ধির বিষয়টি যৌক্তিক বলে বলে মনে করছে না পরিকল্পনা কমিশন। এ বিষয়ে বিটিসিএলকে আরও আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় চীন সরকারের কনসেশনাল লোনের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন ‘মর্ডানাইজেশন অব টেলিকমিউনেকেশন নেটওয়ার্ক’ (এমওটিএন) প্রকল্প এবং আইসিটি বিভাগের কাজের সঙ্গে প্রস্তাবিত কাজের দ্বৈততা রয়েছে কিনা তা যথাযথভাবে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন বলে জানায় পরিকল্পনা কমিশন। তবে পুনর্গঠিত ডিপিপির বিষয়ে বিটিসিএল জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের কার্যপরিধির সঙ্গে অন্য কোনো প্রকল্পের কার্যাবলির দ্বৈততা নেই।

‘বিটিসিএলের বিদ্যমান অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্কের উন্নয়ন ও রিং টাইপ নেটওয়ার্ক রূপান্তর করণ’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।  
 
অন্যদিকে প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিটিসিএল জানায়, চলতি মাসের ২৭ তারিখে পরিকল্পনা কমিশনে পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হবে। তখন প্রস্তাবিত ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হবে। প্রথমে ২০১৭ সালের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ৫জি এজেন্ডা গৃহীত হয়। ফলে প্রকল্পের আওতায় ৫জি কাজ সংযুক্ত করা হয়। প্রকল্পের আওতায় রিং টাইপ নেটওয়ার্ক রূপান্তরকরণ কাজ সংযুক্ত করা হয়। মূলত এসব কারণেই প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যয় বেশি ধরা হয়েছে।  

বিটিসিএলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সামনে প্রকল্পের ওপর পরিকল্পনা কমিশনে পিইসি সভা হবে। আমরা ২০১৮ সালে এই প্রকল্প নিয়ে একটা পিইসি সভা করেছি। প্রকল্প প্রণয়ন করতে বছর খানেক সময় লাগে অর্থাৎ প্রকল্পটির ডিপিপি ২০১৭ সালে তৈরি হয়। তখন ৫জি অন্তর্ভূক্ত ছিল না। নতুন করে প্রকল্পের আওতায় ৫জি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন অনুসারে পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি পুনর্গঠন করতে বলেছে, সেই মোতাবেক পুনর্গঠন করা হয়েছে। প্রকল্পে রিং টাইপ নেটওয়ার্ক রূপান্তরকরণ কাজ যোগ হয়েছে। এর ফলে এক জায়গায় ব্যাঘাত ঘটলে বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সেবা সচল রাখা যাবে। প্রকল্পের কাজের পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রস্তাবিত ব্যয় বাড়তি ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
এমআইএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।