ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

মাইক্রোসফটের কাছে বিক্রি হবে না টিকটক, বন্ধ হতে পারে মার্কিন সেবা

মিরকান মিশুক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
মাইক্রোসফটের কাছে বিক্রি হবে না টিকটক, বন্ধ হতে পারে মার্কিন সেবা

“টিকটক এবং অন্যান্য চীনা অ্যাপ্লিকেশন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি” এমন বিবেচনায় চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটি অ্যামেরিকান কোম্পানির কাছে বিক্রি বা বন্ধ করার জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৫ দিনের একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই ঘোষণায় মাইক্রোসফট এবং ওরাকল চাইনিজ ফার্ম বাইটড্যান্স (টিকটকের পেরেন্ট কোম্পানি) থেকে টিকটক কেনার দৌড়ে নেমে পড়ে।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, জনপ্রিয় ভিডিও-শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন টিকটকের আমেরিকার ব্যবসা কিনে নেওয়ার জন্য তাদের দেওয়া প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান, এর ফলে একই দৌড়ে থাকা আরেকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘ওরাকল’ যাকে ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটককে কিনে নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘গ্রেট কোম্পানি’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন; তাদের জন্য শেষ মুহূর্তের নতুন বিড করার পথ সুগম হলো। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন বড় সমর্থক ওরাকলের চেয়ারম্যান ইলিসন এবং গত ফেব্রুয়ারিতেও তিনি ট্রাম্পের জন্য নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের কাজ করেছেন।

রোববার মাইক্রোসফট মুখপত্র জানান, “বাইটড্যান্স জানিয়েছে তারা মাইক্রোসফটের কাছে টিকটকের অ্যামেরিকান অংশের ব্যবসা বিক্রি করবে না। আমরা নিশ্চিত যে জাতীয় সুরক্ষা স্বার্থ রক্ষা করেও আমাদের প্রস্তাব টিকটকের ব্যবহারকারীদের পক্ষে ভাল হতো। ” 

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং রয়টার্স সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানাচ্ছে, ডাটাবেস প্রযুক্তি এবং ক্লাউড সিস্টেম সপ্লাইয়ের জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ওরাকল টিকটক কিনে নেওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছে। এর আগে জানা গিয়েছিল, জেনারেল আটলান্টিক এবং সিকোইয়া ক্যাপিটালকে সাথে নিয়ে  আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে টিকটকের ব্যবসা কিনে নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছিল ওরাকল। যদিও টিকটকের সংশ্লিষ্ট কেউই এই বিষয়ে কথা বলতে নারাজ।

এদিকে গত দুই সপ্তাহ আগে, প্রযুক্তি রফতানিতে নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে চীন। যার ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্রযুক্তি বা ‘এআই’ রফতানি করার আগে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। টিকটকের বিক্রি ঠেকানো বা বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যেই এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

টিকটকের এত জনপ্রিয়তার মূল কারণ এতে এমন উন্নত অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে যা এর ব্যবহারকারীরা কী ধরনের ভিডিও দেখতে চান তা নির্ণয় করে ওই ধরনের ভিডিওগুলোই তাদের স্ক্রিনে নিয়ে আসে। আর এই ধরনের প্রযুক্তির গুরুত্ব বিবেচনায় তা রফতানিতে নিষেধজ্ঞা আরোপ করেছে চীন তেমনটাই জানাচ্ছে সাউথ চায়না মরনিং পোস্ট।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের প্রায় ১০০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। তবে বেঁধে দেওয়া সময়ের শেষ প্রান্তে এসেও মাইক্রোসফট বা ওরাকল কাউকেই টিকটক কিনে নেওয়ার দৌড়ে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা যাচ্ছে না। তাছাড়া যে এই ক্ষেত্রে যে কোনো চুক্তিতেই মার্কিন-চীন সরকারের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে যা একটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। এদিকে ট্রাপ বলছেন, বেঁধে দেওয়া সময় বাড়ানো হবে না।  

তবে কি বন্ধই হতে যাচ্ছে আমেরিকায় টিকটকের ব্যবসা?

বিবিসি অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
নিউজ ডেস্ক 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।